অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের পদ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটি আজ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ।
৬৭ বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মাহবুবে আলম অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকতে পারেন না মর্মে দাবি করে তার পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত নভেম্বরে রিটটি করেন ইউনূস আলী আকন্দ।
রিটে বলা হয়, সংবিধানের ৬৪(১)/৯৬(১) ধারা অনুযায়ী ৬৭ বছর পরে আর এই পদ নাই। আইন লঙ্ঘন করে প্রায় আট বছর ধরে এই পদে বহাল আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। ৬৭ বছর অতিক্রম করার পরও মাহবুবে আলম কোন কর্তৃত্ববলে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বহাল রয়েছেন তার নির্দেশনা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটে আরো বলা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ বিষয়ে সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সুপ্রিমকোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
সংবিধানের ৯৬(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অন্যান্য নিয়মাবলী সাপেক্ষে কোন বিচারক ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত স্ব-পদে বহাল থাকবেন।
লিগ্যাল রিমেমব্রান্সের ম্যানুয়াল-১৯৬০ এর ক্লজ-২, চ্যাপ্টার ১ অনুযায়ী অ্যাটর্নিদের পদ ২ বছরের জন্য, কিন্তু ২ বছর পূর্বেও ৩ মাসের নোটিশ দিয়ে রাষ্ট্রপতি অপসারণ করতে পারে। কিন্তু ঐ আইন লঙ্ঘন করেও প্রায় ৮ বছর ধরে ঐ পদে বহাল আছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল পদটি সাংবিধানিক উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধান মেলে চলা সকলেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য। সাংবিধানিক অন্য সকল পদেই নির্ধারিত সময় পরে আর কেউ থাকতে পারেন না।
জানা গেছে, গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হয়েছে।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থাকা নিয়ে গত বছরের ২১ মার্চ মাহবুবে আলমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এই লিগ্যাল নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় এই রিট দায়ের করা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ এবং বয়স নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন রিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।