সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করা যাবে ইআরকিউর অর্থ

সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করা যাবে ইআরকিউর অর্থ

রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ‘এক্সপোর্টার রিটেনশন কোটা’ (ইআরকিউ) হিসাবে জমা থাকা অর্থ দিয়ে একই মালিকের অন্য অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আমদানি দায় মেটানো যাবে।

এতদিন ইআরকিউ হিসাব থেকে কেবল নিজ প্রতিষ্ঠানের আমদানি দায় মেটানোর সুযোগ ছিল। অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আমদানি ব্যয় মেটানোর সুযোগ ছিলো না।

রোববার নতুন এই নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অথোরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতিমালা অনুযায়ী, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো রফতানি আয়ের একটি অংশ ইআরকিউ হিসাবে জমা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠানের রফতানির পরিমাণ অনেক বেশি তারা ১৫ শতাংশ এবং কম রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ইআরকিউ হিসাবে রাখতে পারে। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি, বিদেশে অবস্থিত লিঁয়াজো অফিস রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মেটানোসহ বিভিন্ন কাজে এই হিসাব থেকে অর্থ ব্যয় করা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ইআরকিউ হিসাবে রক্ষিত অর্থ ওই প্রতিষ্ঠানের আমদানি দায় মেটাতে ব্যবহার হয় না। অথচ একই মালিকের অন্য প্রতিষ্ঠানের আমদানির জন্য তাকে বাজার থেকে ডলার কিনতে হয়। নতুন এই সুযোগের ফলে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনজনিত খরচ কমবে।

অর্থ বাণিজ্য