তামিম-সাকিবদের বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল মাহমুদউল্লাহর হাতে। তবে খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারলেন টাইগার এই ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে ওয়াগনারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন রিয়াদ। আর এরপর দ্রুত সাব্বির আর সোহানের বিদায়ে চাপে আছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০০ রান। এখন পর্যন্ত কিউইদের থেকে ৩৫ রানে এগিয়ে আছে টাইগাররা। ১০ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মিরাজ।
৬৫ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের ষষ্ট ওভারে সাউদির করা অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিচেল স্যান্টনারকে ক্যাচ দেন মুশফিকের ইনজুরিতে দায়িত্ব পাওয়া তামিম ইকবাল (৮)। তামিমের দ্রুত বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ। দুইজনে মিলে গড়েন ৪১ রানের জুটি।
তবে এরপরই হয় ছন্দপতন। গ্র্যান্ডহোমের বলে গালিতে জিত রাভালের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার (৩৬)। সৌম্যের বিদায়ের পর দুইবার জীবন পেয়েও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব। ব্যক্তিগত ৮ রান করে সাউদির বলে গ্র্যান্ডহোমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। এরপর সবাই তাকিয়ে ছিল মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের দিকে। তবে সবাইকে হতাশ করে ব্যাটের কানায় লেগে ওয়াগনারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান রিয়াদ। একই ওভারে সাব্বির ও সোহানকে বিনা রানে ওয়াটলিংয়ের তালুবন্দি করান ওয়াগনার।
এর আগে সোমবার ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভালে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা আধা ঘণ্টা আগে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উইকেট আর্দ্র থাকার কারণে তা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৬০ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে নিউজিল্যান্ড। দিনের শুরুতেই ফিরে যেতে পারতেন টিম সাউদি। ব্যক্তিগত ১৬ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে সহজ ক্যাচ মিস করেছে মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। এক্সট্রা কভারে সেই মিরাজের তালুবন্দি করেই তাকে ফেরান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এরপর নেইল ওয়াগনারকে নিয়ে দলের হাল ধরেন নিকোলস। ৫৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে ক্রমেই বিজ্জনক হয়ে উঠছিলেন তারা। তবে তাদের থামান মিরাজ। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছানোর আগেই তাকে বোল্ড করেন এ তরুণ। তবে এ আউটে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন মিরাজ। এগিয়ে এসে বলকে অনেকটা ইয়র্কার বানিয়ে ফেলেন নিকোলস। বল ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানলে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন তিনি। ১৪৯ বলে ১২টি চারের সাহায্যে ৯৮ রান করেন তিনি।
এরপর অনেকটা অলসভাবেই দৌঁড়ে বাংলাদেশকে নিজের উইকেট উপহার দেন ওয়েগনার। তবে এ আউটে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের চৌকসতা ফুটে ওঠে। বলে ধরে দারুণ ভাবে উইকেট ভাঙেন তিনি। ওয়াগনার উইকেট ফিরেও লাফিয়ে ওঠায় আউট হয়ে যান। তবে আউট হওয়ার আগে দলের পক্ষে মূল্যবান ২৬ রান যোগ করেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে ৫০ রানে ৪টি উইকেট পেয়েছেন সাকিব। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মিরাজ ও রাব্বি। এছাড়া ১টি উইকেট পেয়েছেন তাসকিন।