শরীয়তপুরে র্যাবের দায়ের করা মামলার আসামি প্রবাসী শামীম সিকদারের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে শরীয়তপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে হাজির হয়ে শামীম সিকদার জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. মনিরুজ্জামান তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শামীম শিকদার (৩৫) নামে এক প্রবাসীকে ধরে নিয়ে যায় মাদারীপুর র্যাব-৮। প্রথমে র্যাবের পক্ষ থেকে তাকে ধরে নেয়ার ঘটনা অস্বীকার করা হলেও কয়েক ঘণ্টা পরে তার বিরুদ্ধে র্যাবের গায়ে হাত তোলা, ইয়াবা ব্যবসা ও জাল টাকা উদ্ধার করার অভিযোগ এনে প্রেস রিলিজ প্রচার করা হয়। শুক্রবার ভোর ৫টায় শামীম শিকদারকে পালং মডেল থানায় সোপর্দ করেন।
ঘটনার বিবরণ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার সময় শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বাংলাশে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ রহমান জনকে বহনকারী একটি অটোবাইককে ধাক্কা দেয় মোটরসাইকেল আরোহী সাদা পোশাকের তিন র্যাব সদস্য। এ ঘটনায় প্রথমে অটোবাইক চালকের সাথে র্যাব সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জনও তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। জনকে র্যাব সদস্যরা হুমকি দিতে থাকলে পথচারী শামীম শিকদার এর প্রতিবাদ জানায়। ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শরীয়তপুর শহরের রাজগঞ্জ ব্রিজ থেকে শামীম শিকদারকে র্যাব তুলে নিয়ে যায়।
বিষয়টি শামীম শিকদারের পরিবার জানার পর বিভিন্নভাবে তাকে খুঁজতে থাকে। রাত ১০টার দিকে শরীয়তপুরের গণমাধ্যম কর্মীরা র্যাব-৮ মাদারীপুর অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার মেজর সোহেল রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি শামীমকে তুলে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এর কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে র্যাব-৮ এর এক সংবাদ বিবরণীতে জানানো হয়, শরীয়তপুর পালং থানা এলাকা থেকে শামীমকে জাল টাকা ও ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে রাত দেড়টায় শামীমের পরিবারের সদস্যরা মাদারীপুর র্যাব-৮ এর কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন শামীম শিকদার সেখানে আটক আছে।
এদিকে শামীম শিকদারের খোঁজ করে না পাওয়ায় অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বৃহস্পতিবার রাতে পালং মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে র্যাব-৮ শুক্রবার ভোরে গায়ে হাত তোলা, ইয়াবা ব্যবসা ও জাল টাকা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে শামীমকে থানায় সোপর্দ করে।