ক্ষমতা হারালে প্রাণে বাঁচবেন না : নেতাকর্মীদের কাদের

ক্ষমতা হারালে প্রাণে বাঁচবেন না : নেতাকর্মীদের কাদের

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে নেতাদের এমন প্রত্যাশা আওয়ামী লীগকে ডুবাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার দুপুরে গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ২০ ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি আরেকবার ক্ষমতা হারাতে হয়, তাহলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের চেয়ে ভয়ংকর অবস্থা হবে। তারা ভয়ংকর মূর্তি নিয়ে আবির্ভূত হবে। প্রাণে বাঁচতে পারবেন না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে জিতে গেছি এ আত্মসন্তুষ্টিই আওয়ামী লীগকে ডুবাবে। ভালোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, খারাপ কাজ করলে, খারাপ সময় আসলে, খারাপ কাজ যারা করছে তার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আর ভালোরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগে কোনো অপকর্ম সহ্য করা হবে না। পার্টি অফিসে ডেকে এনে চার-পাঁচজন সংসদ সদস্যকে সংশোধনের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না।’

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার বা শেখ হাসিনার কোনো ইচ্ছা নেই কোনো দলীয় লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। শেখ হাসিনা কোনো দলীয় লোকের নাম প্রস্তাবও করেননি। নেত্রীর ইচ্ছায় কোনো দলীয় লোকের নাম থাকে না।’

ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঢাকা কলেজে অনেক দিন পর একটা অপকর্ম হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন শুরু হয়েছে, যখনই গ্রেফতার করা হয়েছে তখনই তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

যুবলীগের ওয়ার্ড সম্মেলনে যোগ দেয়ায় সমস্যায় পড়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি অনেক সমস্যার মধ্যে পড়েছি। আমার প্রোগ্রাম সূচিতে ওয়ার্ড সম্মেলনে আমার উপস্থিতির কর্মসূচি দেখে দলের অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ। অনেকেই আমাকে আসতে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু আমি তাদের বলেছি আমি যাবো, কারণ ওয়ার্ড শাখাই হচ্ছে সঠিক এবং সত্যিকারের প্রাণ। আমি সুযোগ পেলে বাংলাদেশের যেকোনো গ্রামের যেকোনো ওয়ার্ডের সম্মেলনে যাবো।

যুবলীগ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুবলীগের যে শৃঙ্খলা আছে তা আওয়ামী লীগেও নেই। যুবলীগের যে গবেষণা প্রকাশনা রয়েছে তা আওয়ামী লীগে নেই। আমি চেষ্টা করছি সেরকম কিছু করতে।’

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ।

রাজনীতি