সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জাতীয় পার্টি ও জামায়াত-শিবিরের ৯৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে।
শুক্রবার কালীগঞ্জ থানায় মামলা চারটি দায়ের করেন নীলকণ্ঠপুর গ্রামের খলিলুর রহমান, ফতেপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান, কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী এবং উপ-পরিদর্শক লস্কর জাহিদুল ইসলাম।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার চারটি মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্বাধীনতা দিবসের নাটকের সংলাপকে কেন্দ্র গত শনিবার (৩১ মার্চ) কালিগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদহা গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।
এছাড়া রোববার রাতে কালীগঞ্জের সীমান্তবর্তী চাকদহা গ্রামেরও কয়েকটি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এসব মামলায় ৯৫ জন ছাড়াও অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জাপা নেতা জুলফিকার আলী, শিবির সদস্য মাসুম বিল্লাহ ও জামায়াতের মিজানুর রহমান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, স্বাধীনতা দিবসের নাটকের সংলাপকে কেন্দ্র করে গত ৩১মার্চ বিকালে ও রাতে ফতেপুর গ্রামের শাহিনুর রহমান, আকুল মেম্বার, স্কুল শিক্ষিকা মিতা রাণী বালা, লক্ষ্মীপদ মণ্ডল ও সুভাষ হাজরার বাড়িতে ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে সবকিছু ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া পরদিন ১ এপ্রিল রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী চাকদহা গ্রামের সাতটি বাড়িতেও হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় অবরোধ করেছেন।
তাদের অভিযোগ, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে কালিগঞ্জের ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। ওই নাটকে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কিছু বাড়িতে লুটপাট চালায় এবং তাদের ওপর নির্যাতন করে।