নূরের আরও পাঁচ স্ত্রী ছিল: নীলা

নূরের আরও পাঁচ স্ত্রী ছিল: নীলা

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার পরই আলোচনায় আসে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের এক সময়কার আলোচিত ও প্রভাবশালী বান্ধবী সাবেক মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলার নাম। তবে, নূর হোসেনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ ঘোষণার পর সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে নীলা ও এই সন্ত্রাসীকে ঘিরে নানা কাহিনী। কারণ নূরের কারণে একসময় বিপুল দাপট ছিল নীলার। তবে নীলা বরাবরই দাবি করে আসছেন, তার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও নূর হোসেন তাকে বিয়ে করেছিলেন। এক পর্যায়ে তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন বলে জানিয়েছেন এই সাবেক মহিলা কাউন্সিলর।

তিনি বলেন, এই ভুল পথে পা বাড়ানোর কারণে আমার জীবন এখন অভিশপ্ত। সাজানো-গোছানো সংসার ভেঙেছি, প্রাণপ্রিয় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি। এখন আমি অসহায়। এলাকার সবাই আমাকে নূরের স্ত্রী হিসেবে জানলেও আমার সঙ্গে তার দাম্পত্য অধিকারের সম্পর্ক নেই। স্বামী-সন্তানের জীবন রক্ষার জন্য নিজের সম্মান জলাঞ্জলি দিয়ে তার স্ত্রীর অভিনয় করে গেছি দিনের পর দিন। কারণ আমি ছাড়াও নূরের আরও পাঁচজন স্ত্রী ছিল। এত স্ত্রীর ভিড়ে আমার কোনো গুরুত্ব ছিল না। আমাকে কোনো সম্পত্তি কিংবা অধিকার দেয়নি।

তিনি বলেন, নূর হোসেন নারীলোভী ছিলেন। তার সঙ্গে বহু নারীর সখ্যতা ছিল। বাংলাদেশে কয়েক নারীকে বিয়ে করার পাশাপাশি ভারতের কলকাতায় রাধা নামের এক নারীকেও বিয়ে করেছিলেন নূর হোসেন। এই বিয়ে ৬ বছরের মতো টিকেছিল বলে জানা গেছে। যাকে চোখে ধরেছে নানা ফন্দিফিকির করে তাকেই বিয়ে করেছে। তবে ওই তথাকথিত বিয়ে পর্যন্ত, স্ত্রীর অধিকার মিলত না। এছাড়া অসংখ্য বান্ধবী ছিল তার।

নূর হোসেনের পাঁচ স্ত্রীর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম স্ত্রী লিলির বাড়ি ঢাকার মিল ব্যারাক এলাকায়। তিনি এখন নূরের সংসারে নেই। দ্বিতীয় স্ত্রী লিপির বাড়ি নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে। তৃতীয় স্ত্রী পারুলের বাড়ি ডেমরার সারুলিয়ায়। তিনিও এখন নূরের সংসারে নেই। আর চতুর্থ স্ত্রী কাঁচপুরের রুমা। তার গর্ভের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। রুমার সঙ্গেই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে থাকতেন নূর হোসেন। এই স্ত্রীর নামে অনেক সম্পদ গড়ে তোলেন এই সন্ত্রাসী। নূর হোসেন গোপাল নাম নিয়ে ভারতে পালাতে গেলে থাকতেন পঞ্চম স্ত্রী রাধা কলকাতার সদর স্ট্রিটের বাড়ি।

বাংলাদেশ