যখন নারী ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, ঠিক সেই সময়ে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সালন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়েরা অন্যান্য খেলাধুলার পাশাপাশি হকিতে এগিয়ে চলেছে।
ইতোমধ্যে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেলে গৌবর অর্জন করেছে। গত ২০ জানুয়ারি জাতীয় হকি টুর্নামেন্টে এবার ঢাকার সঙ্গে ড্র করে রানার আপ হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের নারী হকি দল।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের গত ২ বছর আগে হকি খেলায় আগ্রহী করে তোলেন স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক মাসুদ রানা। প্রথমে বালিকা ইন্টার স্কুল পর্যায়ে খেলে রংপুর বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। পরে হকি বালিকা ঢাকা বিভাগ হকি কাপে অংশগ্রহণ করে রানার আপ হয়।
পরবর্তীতে হকি খেলায় আরো আগ্রহী হয়ে প্রতিদিন অনুশিলন শুরু করে বালিকারা। সমাজের নানা বাধা পেরিয়ে পরিবার ও স্কুলের সহযোগিতায় এখন তারা জাতীয় পর্যায়ে খেলছে। তবে তাদের পর্যাপ্ত খেলার সরঞ্জাম না থাকায় দিনদিন হকি থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন খেলোয়াররা।
খেলোয়ার রুকসানা জানান, মেয়েরা এখন বিভিন্ন খেলায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই হকি খেলার মাধ্যমে দেশকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশা রাখছি। কিন্তু খেলার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় প্রতিনিয়ত অনুশিলন করতে কষ্ট হচ্ছে।
হকি দলের গোল কিপার রুপিয়া আক্তার জানান, আমি বিভাগীয় পর্যায়ে ক্রিকেটের প্যাড দিয়ে কিপিং করেছি। বর্তামনে জেলা প্রশাসক আমাদের কিপিংয়ের জন্য সরঞ্জাম কিনে দিয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন অনুশিলনের মাধ্যমে ভাল খেলবো আমরা।
সালন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মাসুদ রানা জানান, আমাদের মেয়েরা হকি অনেক বেশি আগ্রহী হকি খেলতে। মেয়েরা অনেক বাধা পেরিয়ে হকি খেলছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা আমাদের অনেক সাহায্যে করে। প্রতিবছর মেয়েদের জন্য হকি টুর্নামেন্টের আয়োজন করলে অন্যান্য খেলা ধুলার সঙ্গে হকিতেও এগিয়ে যাবে আমাদের মেয়েরা।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আব্দুল আওয়াল বলেন, সালান্দরের হকি বালিকারা অনেক সুন্দর হকি খেলে। আমরা প্রতিনিয়ত তাদেরকে সহযোগিতা করছি। গোলকিপারের ড্রেসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। হকি বালিকারা হকি খেলে ঠাকুরগাঁওয়ের নাম আরো উজ্জল করবে। এরাই জাতীয় দলের মাধ্যমে একদিন দেশে-বিদেশে ঠাকুরগাঁও জেলাকে চিনিয়ে দেবে।