সৌদি সরকার সে দেশে অবস্থানরত সকল অবৈধ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত অথবা লঘু জরিমানা কিংবা সাধারণ ক্ষমার আওতায় সেখানেই কাজের সুযোগ দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আগে এ সুযোগ ছিল ৩ টি ধাপে। কিন্তু গত ১৫ জানুয়ারি থেকে তা দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয়েছে। যা চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ তাদের জন্যও সুযোগ আছে।
এই সুযোগের আওতায় কোনো ব্যক্তি নিজে থেকে ধরা দিলে তাকে দেশে ফেরত নাও পাঠাতে পারে। এমনও হতে পারেজেল/জরিমানা দিয়ে সৌদি আরবেই আবার কাজের সুযোগ দেয়া হবে।
অপরাধের জন্য যে জরিমানা অথবা জেল দিতে হত তা আর দিতে হবে না। কিন্তু আকামার ফি অথবা অন্য সরকারি কোন ফি যদি বকেয়া থাকে তা অবশ্যই দিতে হবে।
এখানে কিছু পন্থার কথা বলা হয়েছে।যা সকল অবৈধ প্রবাসীদের অবলম্বন করতে হবে।
১. যারা অবৈধভাবে সৌদি আরব আছেন তাদেরকে জাওয়াদাত অফিস অথবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ধরা দিয়ে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার এবং বিমানের টিকিট কিনে তার ভেরিফাইড কপি জাওয়াদাত অথবা মকতবে আমেলকে দিতে হবে। যাতে প্রমাণ হয় যে তিনি সত্যিই টিকিট কিনেছেন।
২. অবৈধভাবে অবস্থানকারীর কাছে আকামা/পাসপোর্ট অথবা যে সকল কাগজপত্র আছে তা দাখিল করতে হবে।
৩. সরকারি কোন ফি, যেমন আকামার উপর জরিমানা অথবা অন্য কোন কারণে কাউকে জরিমানা করা হলে তা ওই ব্যক্তিকেই পরিশোধ করতে হবে।
৪. মকতবে আমেল ও জাওয়াদাত অফিস থেকে ভেরিফাইড করা কপিগুলো সংরক্ষণ করতে হবে এবং কফিলের উপর কোন দাবি-দাওয়া নেই তার প্রমাণ দিতে হবে।
৫. মুয়ামেলাত যাবে এমন একটি আদালতে, যাদের গঠন করা হয়েছে শুধুমাত্র অবৈধ প্রবাসীদের দেশে পাঠানোর জন্য। ওই আদালত থেকে সকল ভেরিফাইড কাগজপত্র ও মুয়ামেলাত সংগ্রহ করতে হবে।
৬. কোনো ব্যক্তি নিজ দায়িত্বে ধরা দিলে তার কফিলকে জানানো হবে এবং ওই ব্যক্তির সঙ্গে যদি কফিলের কোন মুয়ামেলাত থাকে তাহলে তা নিজেদের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে।
৭. কফিল যদি ওই ব্যক্তির ওপর জুলুম করে থাকে তালে কফিলের আফসির সিস্টেম বন্ধ করে দেয়া হবে।