আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে ভাড়াটে সংগঠন বলে অভিহিত করেছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটা বলেন প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ভাড়ায় খাটে। শুধু তাদের পক্ষে নয়, সিলেটে তারাপুর চা বাগান সই জালিয়াতি করে আত্মসাতের কারণে আটক ব্যবসায়ী রাগিব আলীর পক্ষে বিবৃতি দিয়ে প্রমাণ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি ভাড়াটে সংগঠন। তারা পয়সার বিনিময়ে বিবৃতি দেয়, ভাড়ায় খাটে। তাদের বিবৃতি কিনতে পাওয়া যায়।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, গত ১২ জানুয়ারি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি বিবৃতির পর মহাসচিব এবং সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবসহ বিএনপির নেতারা প্রতিদিন বানোয়াট মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। এতে তাদের (বিএনপি) দেউলিয়াত্ব প্রমাণ হয়েছে। বিএনপি নেতাদের নিয়মিত বক্তব্যে প্রমাণ হচ্ছে তারা এ বিবৃতি কিনেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের কারণে শত শত মানুষ মারা গেলেও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তা নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিবৃতি দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে জামায়াতের লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে তারা অর্থ পেয়ে থাকেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে যখন হত্যা করা তখন সংস্থাটি নীরব ছিল।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সংস্থাটির অন্যমত পরিচালক আরিয়ান নায়ারের স্ত্রী ইভেন নায়ার নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের বোর্ড ডিরেক্টরদের মধ্যে একজন। অভিযোগ আছে গ্রামীণ ফাউন্ডেশন থেকেও এ প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন পেয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।