‘ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় জামায়াত-শিবির জড়িত’

‘ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় জামায়াত-শিবির জড়িত’

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হত্যা করার একটা মিশন সারাদেশে চলছে। জামায়াত-শিবিরের সেই চলমান অপতৎপতার অংশ হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা ইমনকে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাগো নিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, এক সময় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত-শিবিরের অভয়ারণ্য ছিল। যদিও রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তৎপরতায় তারা ঝিমিয়ে গেছে। প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা নেই। ধারণা করছি, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দুর্বল করতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন করতে হবে। যেন হত্যাকারীরা পার পেয়ে না যায়।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর এলাকার ইকবল বিশ্বাসের মাছের ঘের থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইলের সিম কার্ডের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ। উদ্ধার করা মরদেহটি সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুলনা কমার্স কলেজের ব্যাবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শেখ হাসিবুল হাসান ইমনের। ইমন শহরের সুলতানপুর এলাকার শেখ ইকবাল হাসান লিটনের ছেলে।

নিহতের চাচাতো ভাই সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্র শেখ সাহারুজ হাসান জাগো নিউজকে জানান, সোমবার রাত ১০টা থেকে মোবাইলে কল দিয়ে কল হচ্ছিল কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি। পরে রাত ১টার দিকে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কারো সঙ্গে ইমনের কোনো ঝগড়া বিবাদ ছিল না।

এদিকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুলতানপুর গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে বিপ্লব ও মুরাদকে আটক করেছে পুলিশ।

সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হচ্ছে না। আশা করছি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত উন্মোচিত হবে।

তিনি আরও বলেন, মরদেহের নাক মুখ দিয়ে রক্ত লেগে রয়েছে। পুলিশের ধারণা শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা ইমনকে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।

রাজনীতি