জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) শূন্য আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর করা আপিল শুনানি আজ হচ্ছে না। জাগো নিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ইয়াসিন খান।
তিনি জানান, এর আগে গত ১১ জানুয়ারি এই আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। আজ শুনানি না করে আগামীকাল আপিল বিভাগের আট সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি করা হবে।
সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে করা আপিল শুনানি না করে এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।
অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ইয়াসিন খান।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করেন। পরে তাকে বহিষ্কার করে তার দল আওয়ামী লীগ। মন্ত্রিসভা থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়।
পরে ৩ সেপ্টেম্বর শুন্য আসন বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সে মোতাবেক ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর এখানে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন লতিফ সিদ্দিকীর ভাই কাদের সিদ্দিকী। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণ খেলাপের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
এর বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে তা ১৮ অক্টোবর খারিজ হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও বহাল রাখেন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন কাদের সিদ্দিকী।