যৌতুক প্রতিরোধে দীর্ঘ তিন যুগ পর (৩৬ বছর) দেশে নতুন ও হালনাগাদ আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রণীত আইনটির চূড়ান্ত খসড়া আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে গত সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ১৯৮০ সালে দেশে যৌতুক প্রতিরোধ আইন প্রণীত হয়। এরপর ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আইনটি হালনাগাদ হয়নি। তাই আইনটির সংস্কার ও হালনাগাদ জরুরি হয়ে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালনাগাদকৃত যৌতুক প্রতিরোধ আইনে যৌতুক নিরোধে কঠিন আইন থাকছে। যৌতুক গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান থাকছে। এ ছাড়া অভিযুক্তের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা আদায় করার কথা বলা হয়েছে।
তবে যৌতুকের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এমনটি প্রমাণিত হলে বাদির সর্বনিম্ন ১ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করার প্রস্তাবনা রয়েছে।
অব্যাহত যৌতুকের দাবিতে প্ররোচিত হয়ে কোন নারী আত্মহত্যা কিংবা তার অঙ্গহানির অভিযোগ প্রমাণিত হলেও কঠিন শাস্তির বিধান থাকছে। এছাড়া শারীরিক নির্যাতনজনিত কারণে কোন নারী পঙ্গু হলে তাকে আজীবন ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীকে বহন করতে হবে।
যৌতুক প্রতিরোধ আইনের খসড়া তৈরির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডারদের সুপারিশের ভিত্তিতে যৌতুক নিরোধের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে তা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হলে আইনটি সংসদে পাশের জন্য উত্থাপিত হবে।