প্রথম দুই ওয়ানডেতে বড় হারে এমনিতেই ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। তার পর প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে করেছিল মাত্র ১৩৬ রান। তবে এ রানকেই যথেষ্ট বানিয়ে দিয়েছেন বোলাররা। খাদিজা, জাহানারা আর পান্নার বোলিং তোপে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় বাঘিনীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার নারী দলকে ১০ রানে হারিয়ে সিরিজে টিকে রইলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার নারীরা। খাদিজাতুল কুবরা ও জাহানারা আলমের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন লিজেলি লি। ৩১ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ঝড়ো ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। এছাড়া শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ৬৫ বলে ৬টি চারে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন ভ্যান ড্যান নিকার্ক। শেষ উইকেটে মার্সিয়া লেটসাওলোর সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট পেয়েছেন খাদিজাতুল কুবরা। পান্না ঘোষ ও জাহানারা আলম পান ২টি করে উইকেট। এছাড়া সালমা খাতুন পেয়েছেন ১টি উইকেট।
সোমবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার শারমিন সুলতানা ও শারমিন আক্তার দারুণ সূচনা করে। ওপেনিং জুটিতে ৪২ রান সংগ্রহ করেন তারা। এরপর দ্রুতই ফিরে যান দুই ওপেনার।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন সানজিদা ইসলাম ও রোমানা আহমেদ। ৪২ রানের জুটি গড়ে দলকে চাপ মুক্ত করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় ৮৯ রানে সানজিদার বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে তারা। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে না পারলে মাত্র ১৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন অধিনায়ক রোমানা। শারমিন সুলতানা ও নিগার সুলতানা উভয়ই ২১ রান করে করেন। এছাড়া শারমিন আক্তার ১৭ ও সানজিদা ইসলাম ১৬ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে মারিজানে কাপ, সুনি লুস ও ড্যান ভ্যান নিকার্ক ২টি করে উইকেট নেন।