চলতি সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার প্রাক-মুহূর্তে নিজের বিদেশ-নীতি কেমন হবে তা নিয়ে একটা ধারণা দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদপত্র টাইমস অব লন্ডন এবং জার্মান সংবাদপত্র দা বিল্ড-এ দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি অ্যামেরিকার বাণিজ্য নীতি, সিরিয়া প্রসঙ্গ এবং ইরাক যুদ্ধ প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যে যে ঘাটতি আছে তা পূরণ করাই ট্রাম্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। বিশেষত চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে ট্রাম্প বিশেষভাবে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
আর এই ঘাটতি মেটাতে তিনি ‘ফেয়ারার ট্রেড ডিল বা ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে আরো অনুকূল নীতি’ নেয়ার পক্ষপাতী। ট্রাম্প বলেছেন, ফ্রি ট্রেড নয়, স্মার্ট ট্রেড এর উপরে গুরুত্ব দেবেন তিনি।
সিরিয়ার অভিবাসী প্রসঙ্গে ট্রাম্প মনে করেন, এতো বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে জার্মানিতে জায়গা দেয়া উচিত হয়নি। এর বদলে সিরিয়াতেই সেফ জোন তৈরি করা উচিত ছিল।
ট্রাম্প বলছেন, আমার মনে হয় সিরিয়াতেই সেফ জোন তৈরি করা গেলে, এতে ব্যয় কিছুটা কমতো। আর এজন্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোরও কিছু অর্থ খরচ করা উচিত। কারণ তাদের এতো প্রচুর অর্থ আছে যা অন্যদের নেই। আমরা এবং তারা মিলে এই কাজ করতে পারলে এতে ব্যয় অনেক কম হতো এবং জার্মানি আজকে যে ট্রমার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তা অনেক কম হতো। তাই আমি বলবো, সিরিয়াতে সেফ জোন তৈরি করুন।
আর রাশিয়া প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের ব্যাপারে অ্যামেরিকা ও রাশিয়া যদি একমত হতে পারে তবেই রাশিয়ার উপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন ট্রাম্প।
তবে, রাশিয়ার কর্মকাণ্ড, সামর্থ্য ও অভিসন্ধি সম্পর্কে ট্রাম্প ভালোভাবে জানেন না বলে সমালোচনা করেছেন সিআইএ-এর পরিচালক জন ব্রেনান।
মস্কোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠানোর ক্ষেত্রেও হোয়াইট হাউসকে খুবই সতর্ক হতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ইরাকে হামলা করা উচিত হয়নি। শুধু তাই নয়, ইরাকে হামলার এই সিদ্ধান্তকে মার্কিন ইতিহাসের সবচে জঘন্য ঘটনা হিসেবেও তিনি উল্লেখ করেছেন। বিবিসি বাংলা।