হকারদের নগর ভবন ঘেরাও ঠেকাতে সড়ক বন্ধ

হকারদের নগর ভবন ঘেরাও ঠেকাতে সড়ক বন্ধ

রাজধানীর গুলিস্তান ও তার আশপাশের সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে আজ সোমবার সকাল ১১টায় নগর ভবন ঘেরাও ও হকারদের অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি হকার ও শ্রমিক সংগঠন। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সমর্থিত হকার্স সংগঠন বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশন ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

এ অবস্থায় শ্রমিকদের আন্দোলন ঠেকাতে সোমবার সকাল থেকে নগর ভবনের সামনের রাস্তা তারকাঁটা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশের বিপুল সংখ্যা সদস্য। ফলে সড়কটি দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া কোনো যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না।

সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা জাগো নিউজকে বলেন, ‘শ্রমিকদের আন্দোলন কর্মসূচি রয়েছে। যে কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

সংগঠনগুলোর অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশন হকারদের পুনর্বাসন না করেই উচ্ছেদ করেছে। উচ্ছেদে ফুটপাতে বুলডোজার, ব্যাপক ভাঙচুর, মালামাল নষ্ট, লুটপাট, হকার নেতাদের উপর হামলা ও নির্যাতন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে এই কর্মসূচি।

কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- সকাল ১১টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সংস্থার মেয়র বরাবর স্মারকলিপি পেশ। এ জন্য তারা সকাল ১০টায় পুরানা পল্টনস্থ ব্যাংক এশিয়ার সামনে জমায়েত হবে।

HAWKER

বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের আহ্বায়ক আব্দুল হাশেম কবির জাগো নিউজকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের কারণে পারছি না। পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন চায় না আমরা বেঁচে থাকি। হকারদের পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করলে তারা বাঁচবে কিভাবে?

এদিকে রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল ও তার আশপাশের সড়কগুলোর ফুটপাত দখল মুক্ত করতে ৫টি হলিডে মার্কেট চালু ও হকার তালিকা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। মার্কেটগুলো চালু করতে ১১ জানুয়ারি নগর ভবনে হকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। বৈঠক শেষে গত ১৫ জানুয়ারি রোববার থেকে অফিস চলাকালিন সময়ে রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল ও রমন এলাকায় কোনো হকার বসতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি।

ঘোষণা অনুযায়ী রোববার এই এলাকায় কোনো হকার বসতে দেয়া হয়নি। পুরো এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

বাংলাদেশ