ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৮০ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ দল। চার ম্যাচের দুটিতে জয় পাওয়ায় চার পয়েন্ট নিয়ে `বি` গ্রুপ থেকে তৃতীয় হয়েছে স্বাগতিকরা।
গ্রুপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭৩ রানে হেরে গেলেও জাপনাকে ১০ উইকেটে এবং আয়ারল্যান্ডকে ৯৫ রানে হারিয়েছে। বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা এখনো রয়ে গেছে। ২২ নভেম্বর `এ` গ্রুপ রানার্সআপ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ দল। সেখানে জয় পেলে বিশ্বকাপে তো খেলবেই ওয়ানডে দলের মর্যাদাও পাবে। আর হেরে গেলে ওয়ানডে মর্যাদার জন্য ২৪ নভেম্বর `এ` গ্রুপের চতুর্থ দল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলতে হবে। জিতে গেলেই শীর্ষ ছয় দলের মধ্যে জায়গা হবে। ২৬ নভেম্বর পঞ্চম স্থানের জন্য প্লে অফের অপর জয়ী দলের মুখোমুখি হবে।
এদিকে টানা চার ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ২০১৩ সালের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সঙ্গে ওয়ানেড দলের মর্যাদাও ধরে রাখলো। গ্রুপ গ্রুপে চার ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই জয় পেয়েছ তারা।
`এ` গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাও শীর্ষ চারে জায়গা করে নিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। তাদের ওয়ানডে মর্যদাও বহাল থাকছে। গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকাও কোন ম্যাচ হারেনি।
বিশ্বকাপের বাকি দুই দল নির্বাচিত হবে প্লে অফ থেকে। যাকে কোয়ার্টার ফাইনাল হিসেবেও দেখা হচ্ছে। ২২ নভেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ দল। আর ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ পাকিস্তান খেলবে ‘এ’ গ্রুপের তৃতীয় দল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ওই দুই ম্যাচের জয়ী দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার মর্যাদা পাবে। পারাজিত দলগুলো ২৪ নভেম্বর যথাক্রমে দুই গ্রুপের চতুর্থ স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এবং আয়ারল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলবে শীর্ষ ছয়ে থাকার জন্য। উভয় ম্যাচের জয়ী দল ওয়ানডে মর্যাদা পাবে। যদিও ২৬ নভেম্বর তাদেরকে পঞ্চম স্থানের জন্য খেলতে হবে। দুই পরাজিত দল খেলবে সপ্তম এবং অষ্টম স্থানের জন্য।
এদিকে সেমিফাইনালের দুই জয়ী দল খেলবে শিরোপার জন্য। পরাজিত দল দুটি তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানের জন্য প্লে অফ ম্যাচ খেলবে।