সরকার ও সেনার মধ্যে গভীর আস্থাহীনতা রয়েছে: আদভানি

সরকার ও সেনার মধ্যে গভীর আস্থাহীনতা রয়েছে: আদভানি

সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গভীর আস্থাহীনতা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এল কে আদাভানি।

তিনি বলেছেন, ‘গত জানুয়ারিতে সেনা বাহিনীর রাজধানী নয়াদিল্লি অভিমুখে যাত্রার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত খবর প্রমাণ করে যে, সরকার এবং সেনা বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ের তুলনায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে গেছে।’

ওই প্রতিবেদনকে ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন এই নেতা। শুক্রবার আদাভানি তার ব্লগে এসব কথা বলার সঙ্গে এও বলেছেন যে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘বিশ্বাসের অভাব’ বিরাজ করছে ওই প্রতিবেদন তাই-ই দেখিয়ে দিয়েছে।

আদভানি তার ব্লগে লিখেছেন, ‘কেউ যদি ৪ এপ্রিলের প্রতিবেদনটি পুরোপুরি পড়ে এবং ৫ এপ্রিলে প্রকাশিত এর ফলোআপ প্রতিবেদনগুলো পড়ে তাহলে যে কেউ এ ব্যাপারে একমত হবে যে, এই প্রতিবেদন অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’

বিজেপির মুখপাত্রের সঙ্গে গলা মিলিয়ে তিনি বলেন, সরকার-সেনা বাহিনী সম্পর্ক আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সবচে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের প্রতিবেদেন অনুযায়ী, হরিয়ানার হিসার থেকে একটি সংগঠিত পদাতিক বাহিনীর অস্বাভাবিক মহড়া লক্ষ্য করা গেছে। ১৬-১৭ জানুয়ারি রাতে আগ্রা থেকে ৫০ পারা ব্রিগেডের একটি বড় সেকশন রাজধানীর দিকে মার্চ করেছিল। এ ঘটনা অবশ্য সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকেও স্বীকার করা হয়েছে। তবে বলা হয়েছে, এটা তাদের রুটিন মহড়া ছিল।

এ ঘটনার ব্যাপারে অমঙ্গলসূচক কিছু কেউ দেখেনি বলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন আদভানি। তিনি বলেছেন, ‘কেউ যদিও ‘সি’ (ক্যু) যুক্ত শব্দটি ব্যবহার করেনি তবে এ ব্যাপারে সবাই খুব উৎসুক ছিল।’

তবে বিজেপি নেতা এল কে আদভানি এই সুযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুটা সিংকে একহাত নিতে ছাড়েননি। তিনি ১৯৮৯ সালের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যখন কংগ্রেস নির্বাচনে হারা এবং রাজিব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর পর লোকসভা ভেঙে গেলে সেনা বাহিনীকে ডাকার চেষ্টা করেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক