চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার উভয় শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। আজ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১৫৭ পয়েন্ট। এ নিয়ে উভয় বাজারে টানা ৫ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যহত থাকলো।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার ডিএসইতে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়
এরপর সূচকের টানা ঊর্ধ্বমুখীতায় বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএসইএক্স বাড়ে ৬৯ পয়েন্ট। সূচকের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২১৪ পয়েন্টে পৌঁছায়।
এদিন মূল্য সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। দিন শেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার। যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৪২ কোটি ২৫ লাখ টাকা বেশি।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ২১৩টির দামই বেড়েছে। অপরদিকে ৯৯টির দাম কমেছে এবং ১৬টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির মোট ৯৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলার ৪৮ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪০ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাপোলো ইস্পাত।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- বারাকা পাওয়ার, জিপিএইচ ইস্পাত, একমি ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, অলেম্পিক এক্সেসরিজ, ওরিয়ন ফার্মা এবং একটিভ ফাইন।
রোববার সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতের শেয়ার। মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৮৮ শতাংশই ছিল এ খাতের দখলে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতের অবদান ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোট লেনদেনে ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত।
এছাড়া ব্যাংক খাতের ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ, আর্থিক খাতের ৯ দশমকি ৮৬ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৭ দশমিক শূন্য ২৩ শতাংশ অবদান রয়েছে। বাকি সব খাতের মোট অবদান ৫ শতাংশেরও নীচে।
এদিন ডিএসইতে ‘এ’ গ্রুপের ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৮টির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৯টির।
আর ‘জেড’ গ্রুপের লেনদেন হওয়া ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টিরই দাম আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তীত আছে ৫টির দাম।
এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের লেনদেন হওয়া ১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টির দাম বেড়েছে, ৭টির দাম কমেছে এবং ২টির দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। ‘এন’ গ্রুপের লেনদেন হওয়া ২টিরই দাম বেড়েছে।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১০১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে মোট ১০৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ২৭৪টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৩টির, কমেছে ৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।