কথাটা কানে লাগবে। তারপরও কঠিন সত্য। দল কালকের মতো খুব ভাল অবস্থায় থাকলে হয়তো এত উন্মুখ অপেক্ষা ও কৌতুহল থাকতো না। কিন্তু আজ পড়ন্ত বিকেলে দমকা বাতাসের ঝাপটায় হঠাৎ সাজানো বাগান হয়ে গেছে খানিক এলোমেলো। কাজেই এখন শেষ দিনে প্রতিটি ব্যাটসম্যানের সার্ভিস দরকার পড়তে পারে।
সেই আলোকেই গোটা দেশ নিশ্চয়ই ইমরুল কায়েসের ইনজুরির খবর জানতে উদগ্রীব। কি অবস্থা ইমরুলের? সে কি এখনো হাসপাতালে? আজ রাতে কি হাসপাতালেই থাকতে হবে? এক্স-রে রিপোর্ট কি? তার পক্ষে কি আগামীকাল (সোমবার) শেষ দিন ব্যাটিং করা সম্ভব হবে? ফেসবুক-ভাইভারে রাজ্যের কৌতুহলি ম্যাসেজ আর কল।
সর্বশেষ খবর, ইমরুল কায়েস হাসপাতাল থেকে টিম হোটেলে ফিরে এসেছেন। তার এক্স-রে রিপোর্টও ভালো। কোন ধরনের ইনজুরি ধরা পড়েনি। ম্যানেজার সাব্বির জানান, ইমরুলের এক্স-রেতে কোন জটিলতা নেই। জাগো নিউজকে ফোনে এ তথ্য দিয়ে ম্যানেজার সাব্বির খান বলেন, ‘ইমরুলের সমস্যাটা বাঁ-পায়ের উরুতে সামনের অংশে। এটা কি উরুর মাংসপেশিতে টান? প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ ম্যানেজার জানান, বলতে পারেন উরুর সামনের অংশে এক রকমের টান পড়েছে।’
বাংলাদেশ সময় দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ( ওয়েলিংটন সময় রাত পৌনে দশটা) জাগো নিউজের সাথে ম্যানেজার সাব্বির যখন ফোনে কথা বলেন, তার অল্প কিছুক্ষণ আগেই ইমরুল হাসপাতাল থেকে টিম হোটেলে ফিরে গেছেন।
সাব্বির আরও জানান ইমরুলের ব্যাথার তীব্রতা কমেছে। তারপরও ইনজুরির ধরন ও গতি প্রকৃতি জানতে আগামীকাল সকালে ‘আল্ট্রা সাউন্ড টেস্ট’ করা হবে। তখনই বোঝা যাবে প্রকৃত ইনজুরিটা কি? এবং কতটা গুরুতর?
ইমরুল কায়েস কাল দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং করতে পারবেন কি না? রোবার রাতে এ প্রশ্ন করা হলে ম্যানেজার সাব্বির খান ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, এ মুহুর্তে বলা যাবে না। এজন্য সোমবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতেই হবে। সোমবার সকালে বলা যাবে ইমরুল ব্যাট হাতে মাঠে নামতে পারবে কি পারবেনা?