নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুরোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে তার নামে লাগানো বিলবোর্ড ও পোস্টারগুলো নামিয়ে নিয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই তিনি এ কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় বিমানবন্দর, উত্তরা ও খিলখেত থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ কার্যক্রম আরো কয়েকদিন চলবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মায়া বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে এ পোস্টার ও বিলবোর্ডগুলো নামিয়ে নেওয়া হলো।’
তিনি আরো বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা অনেক বড়। তাই নির্বাচনী এলাকার সকল পোস্টার ও বিলবোর্ড সরাতে দুই-তিন দিন সময় লাগবে। সে পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
মায়া বলেন, ‘গত চার মাস ধরে আমি নির্বাচনী এলাকার অলি-গলি, মসজিদ ও ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। মানুষ আমার নির্বাচনের জন্য মাঠে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এজন্য তারা বিভিন্ন স্থানে আমার নামে পোস্টার-বিলবোর্ড-ফেস্টুন টানিয়ে দিয়েছেন।’
এ সময় তিনি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের তার নামে টাঙানো পোস্টার-বিলবোর্ড-ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মহাজোটের আরো মেয়র প্রার্থীর কথা উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হলে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান।
পোস্টার-বিলবোর্ড-ফেস্টুন সরানোর সময় মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়, দফতর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সদস্য রফিকুর রহমান, বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান, সাংগাঠনিক সম্পাদক আফসার খান, খিলখেত থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ৯৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামানসহ বিমানবন্দর শ্রমিক লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৯ মের মধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (উত্তর-দক্ষিণ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশন ডিসিসি নির্বাচনের প্রাথমিক সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
নির্বাচন উপলক্ষে গত বুধবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজি রকিবউদ্দীন আহমেদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগ্রহী প্রার্থীদের প্রচারণামূলক সব ধরণের বিলবোর্ড ও পোস্টার স্ব-উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
সে সময় সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীদের বিলবোর্ড ও পোস্টার সরাতে বেশি সময় দেওয়া হবে না। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রার্থীরা এগুলো অপসারণ করতে না পারলে নির্বাচন কমিশন, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে অপসারিত করা হবে। তবে এক্ষেত্রে অপসারণের সকল ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরকেই বহন করতে হবে।
দুই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৭ জন।