কনকনে শীত উপেক্ষা করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা

কনকনে শীত উপেক্ষা করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা

হাফেজ মাঝি। বয়স ৭৫। রংপুরে ৪০ দিনের চিল্লাহ শেষে ১৩ জনের গ্রুপ নিয়ে শুক্রবার সরাসরি ইজতেমায় এসেছেন। কনকনে শীতে কাঁপছিলেন। তবুও কম্বল গায়ে দিয়ে বয়ান শুনছিলেন।

হাফেজ মাঝি বলেন, দু’দিন ধরে অনেক ঠান্ডা। বরফের মতো ঠান্ডা পানি দিয়ে ওজু করে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহর কাছে কেঁদেছি। মাফ চেয়েছি। বরফের মতো শীতেও আমরা সবাই আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করছি।

শুক্রবার থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘটবে এই পর্বের। প্রতি বছরের মতো এবারও ইজতেমার সময় দেশে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তবে শীতকে উপেক্ষা করেই ইজতেমায় যোগ দিয়ে বয়ান শুনছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তুরাগ তীরে ঢল নেমেছ মুসল্লীদের।

Tangi
ইজতেমা মাঠে বসে বয়ান শুনছিলেন ৮০ বছর বয়সী নিজাম বাহাদুর। গেঞ্জি, পাঞ্জাবী, জ্যাকেটমহ গায়ে দিয়েছেন কম্বল।

নিজাম বাহাদুর বললেন, আমাদের সৌভাগ্য বাংলাদেশে ইজতেমার মতো এতো বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। যতো শীত থাকুক না কেন, গত ২০ বছর ধরে এখানে আসছি। যতদিন বেঁচে থাকবো প্রতিবছর আসবো। আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার জন্য শীতের মধ্যে তিনদিন কাটানো কোন ব্যাপার না। আশা করছি পরকালে এর ফল আল্লাহ নিজের হাতেই দেবেন।

তীব্র শীত ও বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমায় এ পর্যন্ত ৭ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুসল্লিদের প্যান্ডেলের বাইরে যেতে দেখা যায়নি। শীত বস্ত্র মুড়িয়ে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেন তারা।

Tangi
এদিকে ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও পরকালের শান্তি পাওয়ার পথগুলোর বিষয়ে বয়ান করা হচ্ছে। বয়ান করেছেন দেশ বিদেশের মাওলানারা। বয়ানে তারা দুনিয়ার মিছে আরাম-আয়েশের কথা ভুলে গিয়ে আখেরাতের কথা চিন্তা করার কথা বলেছেন। বয়ানে দ্বীনের দাওয়ার দেয়ার প্রতিও তাগিদ দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাড়াও প্রায় ৩০টি দেশ থেকে আসা মুসল্লিরা এই ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। ৪ দিনের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে আগামী ২০ তারিখ।

ইসলামী জগত