নোয়াখালীতে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ন’টায় স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করার পর ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপি সভাপতি মো. শাহজাহান সমর্থিত জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরুল আমিন খান-সাধারণ সম্পাদক সাবের আহম্মদ গ্রুপ ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদ সমর্থিত সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক এসএম নিজাম-নোয়াখালী শহর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী চয়ন গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় উভয় গ্রুপ শহরের প্রধান সড়কের স্টার রেস্তোরাঁ, তিনটি সিএনজি, একটি পিকআপ, তিনটি বাস, দুইটি উকিল চেম্বার, একটি কম্পিউটার দোকান, একটি কসমেটিক দোকান ও দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবিএম জাকারিয়া ও সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন তরফদার রাত পৌনে এগারটায় জানান, ৬ এপ্রিল নোয়াখালী আল-ফারুক একাডেমি মাঠে জেলা বিএনপি সভাপতি সমর্থিত ছাত্রদলের গ্রুপ ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত ছাত্রদল গ্রুপ সভা ডাকে।
এ পরিস্থিতিতে প্রশাসন বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ন’টায় পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এর জের ধরে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় উভয় গ্রুপ ধারালো অস্ত্র নিয়ে শহরের সমবায় মার্কেটে জাকারিয়া ও শহর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট তাফসির হোসেনের চেম্বার, অক্সফোর্ড লাইব্রেরিসহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে।
এ সময় জনমনে আতঙ্ক ছড়াতে রাস্তায় কয়েকটি ককলেট নিক্ষেপ করা হয়। খবর পেয়ে সুধারাম থানা পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জাকারিয়া আরো জানান, ২৬ মার্চের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ও অকার্যকর ও আগামী ৬ এপ্রিলের কর্মী সম্মেলন স্থগিত করার জন্য নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক একেএম রাসেল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক আলিমুর রহমান মোর্শেদ, শহর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক রাইসুল হায়দার বাবু বাদী হয়ে নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক সাবের আহম্মদ, যুগ্ম-সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নোমানসহ চার নেতার বিরুদ্ধে নোয়াখালী সদর সিনিয়র সহকারী জজ এস এস জিল্লুর রহমানের আদালতে রোববার একটি মামলা দায়ের করে।
আদালত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার আদালত জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. নুরুল আমিন খান ও সাধারণ সম্পাদক সাবের আহম্মদের পক্ষে রায় দেন। মামলায় হেরে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায় বলেও তিনি জানান।
রাত বারোটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো।
উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।