পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে আদালতের প্রশ্ন

পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে আদালতের প্রশ্ন

পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতার আদালত। হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেছেন কমল দে নামের এক ব্যক্তি। হাইকোর্টে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভুঁড়িধারী পুলিশ কী করে অপরাধীদের ধাওয়া করে ধরবে? তার এমন প্রশ্নে কাজের অতিরিক্ত চাপেও পুলিশকে শারীরিক ভাবে সক্ষম থাকতে হবে এমনটাই মনে করছে আদালত।

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। তার দাবি, কলকাতা পুলিশের এক শ্রেণির কর্মীর ভুঁড়ি থাকার কারণে শারীরিকভাবে তারা সক্ষম নন। তাদের সক্ষম হওয়া দরকার বলে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, ভুঁড়িধারী পুলিশের পক্ষে শারীরিকভাবে সক্ষম থাকা যায় কিনা? পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা ও সতর্কতা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অথবা এ নিয়ে রাজ্য সরকারের কী নীতি রয়েছে তা আদালতে পেশ করতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আদালতে আবেদনকারী কমল দের বক্তব্য কোথাও দেখা যাচ্ছে মোটাসোটা, ভুঁড়িধারী পুলিশকর্মী থানায় বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন, কোথাও দেখা যাচ্ছে বসে বসে ঘুমোচ্ছেন। তার মতে, ভুঁড়ির কারণেই চোরের পেছনে ছুটতে হলে পুলিশের দশা বেহাল হচ্ছে। আর এই ফাকে চোর হচ্ছে পগারপার।

প্রমাণস্বরূপ শুনানিতে বেশ কয়েকজন ভুঁড়িধারী পুলিশের ছবিও পেশ করেন কমল দে। তাদের কেউ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কেউ বা কনস্টেবল।

আদালতে এই মামলার আবেদনকারীর বক্তব্য, পুলিশের মতো শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা কমে গেলে তাদের পক্ষে অপরাধীদের ধরা বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা অথবা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। সেই কারণে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, মোটা হয়ে যাওয়া বা ভুঁড়ি হওয়া শুধু রাজ্যের সমস্যা নয়, এটা এখন সারা পৃথিবীর সমস্যা। এটি এক ধরনের অসুস্থতা বলেও জানানো হয়েছে। তখনই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ভুঁড়িধারী পুলিশ কী করে অপরাধীদের ধাওয়া করে ধরবে?’ কারণ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অনেক পুলিশ কর্মকর্তাই জোরে হাঁটতেও পারেন না।

আন্তর্জাতিক