দু`দিন পুরো হলো না। একদিন ভালো যেতেই বদলে গেলো ওয়েলিংটনের আবহাওয়া ও আকাশ। আবার শুরু ‘পাগলা হাওয়ার’ পাগলামি। ওয়েলিংটনে আবারো শুরু দমকা বাতাস। তবে গত পরশু যতটা জোরে ও প্রচণ্ড ‘শন শন’ শব্দে প্রবাহিত হয়েছিল, ততটা না।
এমনিতে আবহাওয়ার বড় ধরনের পরিবর্তনও ঘটেনি। সকাল থেকে মেঘ আর সূর্যের লুকোচুরি খেলা চলছে। একবার সূর্যের দেখা মিলে। আবার মেঘ এসে ঢেকে দেয়। এর মধ্যেই চলছে খেলা।
এদিকে আরও একটা বড় খবর আছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মোটেই সুখকর না। আবারো পাগলা হাওয়া মাথা চাড়ার পূর্বাভাস। আবহাওয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, আজ রাতটা খুবই ‘উইন্ডি’ থাকবে। তার মানে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। পাশাপাশি আকাশও মেঘে ঢেকে যাবে এবং বৃষ্টি পড়ারও সম্ভাবনাও আছে।
এদিকে আামীকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে প্রচণ্ড বাতাস বয়ে যাবার কথা বলা আছে। পাশাপাশি আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে এমন কথাও জানানো হয়েছে। তার মানে ব্যাটসম্যানদের পর এবার বোলার ও ফিল্ডারদের পাগলা হাওয়ার মোকাবিলা করতে হবে।
সেটা সুখকর হবেনা নিশ্চয়ই। কারণ এমন প্রচণ্ড বাতাসে বোলিং ও ফিল্ডিং করাও সহজ নয়। বিশেষ করে পেসারদের বাতাসের বিপরীতে বোলিং করতে বাড়তি শক্তিক্ষয় করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, তাসকিন, শুভাশিস ও কামরুল ইসলাম রাব্বির কারোই এমন দমকা বাতাসের বিপরিতে বোলিং করার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।
কাজেই যারা বাতাসের অনুকূলে বল করবেন, তার হয়তো বাড়তি শ্রমক্ষয় হবে না। কিন্তু যারা বাতাসের বিপরিতে বল করবেন, তাদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হবে। তার মানে বাড়তি শারীরিক সক্ষমতার দরকার।
তামিম ও মুমিনুল প্রথম দিন প্রচণ্ড বাতাসের মধ্যে প্রায় অর্ধেক দিন কাটিয়ে দিয়েছেন উইকেটে। শুক্রবার সাকিব আর মুশফিক অবশ্য অনেক সৌভাগ্যবান ছিলেন। তাদের দমকা বাতাস আর কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে সাঁরা দিন ব্যাটিং করতে হয়নি। যা এখন করতে হবে পুরো দলকে। বিশেষ করে পেসারদেরদের। দেখা যাক এ টেস্টে এখন পর্যন্ত কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাওয়া সব নতুনত্তর মাঝে প্রচণ্ড বাতাসে বোলিং করার অভিজ্ঞতাটা কেমন হয় রাব্বি, তাসকিন ও শুভাশিসের?