ইনিংসের শুরুটা বিপদকে সঙ্গী করেই। দলীয় ১৬ রানের মাথায় ইমরুল কায়েসের (১) উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে ৫০ বলে ৫৬ রানের কিছু ঝড়ো ইনিংস খেলেই বিদায় নেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও পারেননি সেভাবে ব্যাট করতে। ২৬ রান তুলে তিনিও ফিরে গেলেন সাজঘরে।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে টেস্ট স্পেশালিস্ট খ্যাত মুমিনুল হক এখনো আশার প্রতীক হয়ে আছেন। অপরাজিত আছেন ৬৪ রানে। অনেকটা বুঝেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছেন তিনি। এ রান করতে খেলেছেন ১১০ বল। সাকিব আল হাসান ব্যাট করছেন ৫ রান নিয়ে। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৪।
সব মিলে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের; এমনটাই মনে করছেন নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার নেইল ওয়েগনারও। জানালেন, দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিকরা ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছে। তার জন্য দ্রুত উইকেট ফেলতে মুখিয়ে তারা। প্রথম দিনের ভুলগুলো দ্বিতীয় দিন যেন না হয়, সেই পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামবে কেন উইলিয়ামসন বাহিনী।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্রশংসায় ওয়েগনার বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা আসলে বাংলাদেশেরই দিন ছিল। আমরা কন্ডিশন কাজে লাগাতে চেষ্টা করছি। নিজেদের বোলিং ইউনিট নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। তবে প্রথম দিন লম্বা জুটি গড়ে ভালো বোলিং করতে পারিনি। কিছু ভুল ছিল, যা আমাদের ভুগিয়েছে।’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খানিকটা নিষ্প্রভ তামিম প্রথম টেস্টে ভালো করেছেন। ফিফটির দেখা পাওয়া এই টাইগার ওপেনারের বন্দনা করেছেন ওয়েগনার। বলেন, ‘তামিম ভালো ব্যাট করেছে। বাংলাদেশ বাজে বলগুলোকে কাজে লাগিয়েছে এবং ইতিবাচকভাবে খেলেছে। যা আমাদের ব্যাটফুটে ঠেলে দিয়েছে। আমরা ছন্দ খুঁজে পাইনি। কারণ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যনরা ভালো ব্যাট করছিল।’
বেসিন রিজার্ভের উইকেটের চরিত্র নিয়ে বেশ ভালোই অভিহিত ওয়েগনার। ঘরের মাঠ বলে কথা। এই মাঠে বড় স্কোর হয়, এটাও তার ভালো জানা। আবার উইকেট পতনের মিছিল নাকি দেখা যায় বেসিনে। তাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলার পরিকল্পনা আঁটছে স্বাগতিক শিবির।
ওয়েগনারের ভাষায়, ‘বেসিনে সাধারণত দেখা যায় যে আপনি যদি নিজেকে মেলে ধরতে পারেন, তাহলে বড় স্কোর করা সম্ভব। যদি কন্ডিশনকে কাজে লাগাতে পারেন, ব্যাটিংটা ভালো করার জন্য এটা ভালো উইকেট। আবার এমনটাও দেখা যায় যে, উইকেট পতন ঘটতে শুরু করলে ব্যাটসম্যানটা সেই পতনের মিছিলে যোগ দেয়। অপরদিকে, যদি ২-৩-৪টি উইকেট দ্রুত ফেলে দিতে পারি, তাহলে আমরা চাপ সৃষ্টি করতে পারবো, আগামীকাল (শুক্রবার) আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। ওই দিনও আমরা একই কন্ডিশনই পাবো।’