সাগর আর পাহাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ডে শীত আর গ্রীষ্ম নাই। সারা বছরই তীব্র বাতাস। প্রচন্ড রোদের মাঝেও হঠাৎ হঠাৎ দমকা বাতাস। আর বিকেল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সে দমকা বাতাস রূপ নেয় কনকনে ঠান্ডায়। গত দু`সপ্তাহ নিউজিল্যান্ডের বেশ কটি শহর ঘুরে এমন ধারণা জন্মেছে।
সেই ক্রাইষ্টচার্চ, নেপিয়ার, নেলসন, মাউন্ট মুঙ্গানুই ঘুরে ওয়েলিংটন সব শহরেই প্রায় এক। কারণ সব শহরের চারদিক জুড়েই পাহাড় ও সমুদ্র। তাই বাতাসের জোর বেশি। তবে অন্য সব শহরের চেয়ে ওয়েলিংটন অন্তত এক ধাপ ওপরে। রাজধানীকে এ দেশের সবচেয়ে ‘উইন্ডি’ সিটি বলা হয়।
তবে গত পরশু বিকেলে এ শহরে পা দেবার পর মনে হচ্ছিল বাতাসের জোর বুঝি একটু কম। গতকাল তো রিতিমত গরম গেছে। রোদ ঝলমলে সোনালি দিন। বাতাস বইছে। তবে কম। কিন্তু আজ ভোর থেকেই ওয়েলিংটনের ‘সেই পাগলা হাওয়া’ বইছে। সূর্য মেঘের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। বেশির ভাগ সময় মেঘেরই জয় হচ্ছে। সারাদিনে সূর্যের দেখা মিলেছে কম।
সেটা সমস্যা নয়। কারণ বৃষ্টি নামেনি। কিন্তু পাগলা বাতাস জেঁকে বসেছে। বাতাসটা কেমন শুনবেন? তাহলে শুনুন আর ভাবুন, বাংলাদেশে উপকূলে ঝড় হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট এলাকায় ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইছে। তার ঝপাটায় রাজানী ঢাকাতেও বাতাস বয়ে যায়। একটা ‘ শো শো ’ শব্দ কানে এসে লাগে। সঙ্গে থাকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি।
অন্য সময় হয় কিনা জানি না। তবে আজকের ওয়েলিংটনে সেই শো শো বাতাস সারা দিন। স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার ( বাংলাদেশে সময় তখন সকাল দশটা) পরেও সেই শো শো শব্দ কানে এসে লাগছিল। তবে ঝিরঝিরে বৃষ্টিটা নেই এই যা। বাতাসের প্রচণ্ডতা সারা দিন প্রায় একই রকম থাকলো। সকালের দিকে কিছুক্ষণ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত তাপমাত্রা থাকলেও তা নেমে ১৬ তে এসেছে।
বৃহস্পতিবার টেস্ট শুরুর দিন তাপমাত্রা নাকি আরও কমবে। আগামীদিন তাপমাত্রা কমে ১৩তে নেমে আসার কথা বলা আছে। বাতাসের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা কম। সারা দিনের বড় সময় আকাশে মেঘ থাকবে। দুপুরের দিকে বৃষ্টি নামার কথাও বলা আছে। আকাশ মেঘে ঢাকা। সঙ্গে দমকা কনকনে ঠান্ডার মিশেলের বাতাস। আর সবুজ কচি ঘাসের পিচ, সত্যিকার সীমিং কন্ডিশন। গ্রীষ্মকালেও ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টের আগে ঘুরে ফিরে সীমিং কন্ডিশনের মুখে টাইগাররা।