‘যে মানুষটি জনগণের কল্যাণে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে গেছে, সেই মানুষটিকে এভাবে কি কেউ হত্যা করতে পারে। সকলের প্রতি আমার আবেদন আপনারা আমার স্বামীর হত্যাকারীদের খুঁজে বের করুন। আমি শুধু আমার স্বামীর নৃশংস হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে যেতে চাই’।
মঙ্গলবার বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা আবদুল হক কলেজ মাঠে জেলা পুলিশের আয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় কান্নাজড়িতে কণ্ঠে কথাগুলো বলেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মনজুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী জেলা আওয়ামী মহিলালীগের নেত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি।
তাকে সমবেদনা জানিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, আপনার বেদনা আমি বুঝি। আমি ওয়াদা করলাম লিটন হত্যার খুনিদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় অবশ্যই আনবো।
এদিকে, লিটন হত্যাকাণ্ডের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা। প্রতিদিনই লিটনের বাড়ি ঘিরে ও বিভিন্ন সূত্রে তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবির নেতকার্মীদের আটক করে।
এছাড়া হত্যার তথ্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের আটক করা হয় তাদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এ ঘটনার পর অন্তত ৪৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এরমধ্যে আটজনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তবে সন্দেভাজন আটক অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।