বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি যৌথ কমিশন গঠন করা যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ যৌথ কমিশনের মাধ্যমে দুই দেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে পারে বলেও দীপু মনির মতামত।
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শেরম্যানকে তিনি প্রস্তাব দেন।
শুক্রবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন শেরম্যান। এ সময় তাদের মধ্যে এ বিষয়ে কথা হয়।
সাক্ষাৎকালীন আলোচনার ওপর সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
শেরম্যান আলোচনার সময় দীপু মনিকে বলেন,‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে গেছে। তবে এসব ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নতিতে আরো সহযোগিতা করতে আগ্রহী।’
এ প্রসঙ্গে দীপু মনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তৃতীয় সর্বোচ্চ এ কর্মকর্তাকে বলেন, ‘দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি ফোরাম হতে পারে যৌথ কমিশন। এর মাধ্যমে সব বিষয়েই আলোচনা করা যায়।’
আলোচনাকালে দীপু মনি যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী দণ্ডিত আসামি রাশেদ চৌধুরীর ব্যাপারে জানতে চান। রাশেদকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে হিলারিকে চিঠি দিয়েছেন দীপু মনি।
দীপু মনির সঙ্গে আলোচনার সময়ও যথারীতি গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গ তোলেন ওয়েন্ডি শেরম্যান। দীপু মনি জানান, এটি বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। গ্রামীণ ব্যাংককে স্বভাবসুলভ কাজ করতে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও দীপু তাকে জানান।
আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনাকালে মিয়ানমারের সর্বশেষ নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়েও তাদের মধ্যে কথা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অণুবিভাগের মহাপরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন।