ফ্লোরিডা বিমানবন্দরের হামলাকারী ইরাক যুদ্ধ থেকে ফেরত মার্কিন সেনা এসতেবান স্যান্টিয়াগোর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযাগ গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার ফ্লোরিডার লদারদেল বিমানবন্দরে ওই বন্দুকধারীর হামলায় ৫ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়।
শনিবার ওই হামলাকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। বার্তাসংস্থা এপি বলছে, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে হামলাকারীর।
এসতেবান স্যান্টিয়াগো তদন্তকারীদেরকে বলেছেন, তিনি ওই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র ওয়ান-ওয়ে টিকিট কিনেছিলেন। তবে বিমানবন্দর কেন টার্গেট করা হয়েছে সেবিষয়ে কোনো তথ্য জানতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়নি তারা।
স্যান্টিয়াগোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সহিংসতা চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর ফলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের সাজা ভোগ করতে হতে পারে তাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বলছে, হামলাকারী মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারেন। এর আগে তিনি একটি জিহাদি ভিডিওতে নিজেকে ধারণ করে বলেছিলেন, সরকার তার মন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
বিবিসি বলছে, বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ এ যাত্রীরা লাগেজ সংগ্রহের সময় হামলাকারী ওই সেনা গুলিবর্ষণ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারী ওই টার্মিনালে হাঁটছিলেন এবং গুলি চালানোর সময় যখন লোকজন পালানোর চেষ্টা করছিল তখন তিনি কিছু বলেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর হামলাকারী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেন।
বার্তাসংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে বলছে, ২৬ বছর বয়সী স্যান্টিয়াগোর কাজে সন্তুষ্ট না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে গত বছর ইরাক থেকে দেশে ফিরিয়ে আনে। তার ভাই বলেছেন, সম্প্রতি তিনি (হামলাকারী) মানসিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সূত্র : এপি, বিবিসি।