দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতির (বাপসা) ব্যানারে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে ইউপি সচিবরা।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাপসার মহাসচিব মাসুদ পারভেজ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। একই দাবিতে গত বছরও আন্দোলনে নেমেছিলো বাপসা।
সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
#. ইউপি সচিবদের পদবি পরিবর্তন করে দশম গ্রেডে মর্যাদা প্রদান।
#. বেতন, ভাতাসহ যাবতীয় সুবিধাদি শতভাগ সরকারি কোষাগার থেকে দিতে হবে এবং
#. ইউপি কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য পেনশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
দাবি পূরণ না হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা জানান বাপসা সভাপতি। এরপরও দাবি আদায় না হলে অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
বাপসা সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবরা ২০১৫ সালের বেতন স্কেলের ১৪তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।যা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারিরা পেয়ে থাকে। অথচ আমাদের পর্যায়ে অন্যান্য চাকরিজীবীরা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা ভোগ করছেন।
সমিতির মহাসচিব মাসুদ পারভেজ বলেন, বেতনের ৭৫ ভাগ দেয় সরকার আর ২৫ ভাগ দেয় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। গত চার মাস ধরে আমরা বেতন পাই না। অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন আছে। আমরা সরকারের রাজস্ব কর্মকর্তা নই, এ অভিযোগ তুলে পেনশন খোলা হচ্ছে না। আমার বৈষম্যের শিকার বলেও জানান তিনি।
গত আন্দোলনের বিষয়ে মাসুদ পারভেজ জানান, ফেব্রুয়ারিতে বাপসা একই দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। জেলায় জেলায় মানববন্ধন, জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি ছাড়াও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এমনকি ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
এরপরও দাবি আদায় না হওয়ায় গত ১৭ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৭ জুলাই মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য মীর কাসেমের ফাঁসির রায় কার্যকরের দিন ধার্য হওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠিনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মোমিন, অর্থ সম্পাদক কাজী তাজউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।