হোটেল থেকে কয়েক কদম হেঁটে গেলেই দরিয়ার পাড়। রাতের নির্জনতায় সাগরের গর্জন শুনতে বেশ লাগে। খোলা হওয়া অনুশীলনের ক্লান্তি দূর করে দেয়। প্রতিরাতেই দলবেঁধে মুম্বাই বিচে বেড়াতে যান তামিম ইকবালরা। পুনে ওয়ারিয়র্সে তার সময়টা ভালোই কাটছে।
পুনের প্রথম ম্যাচ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে হওয়ায় অনুশীলন ক্যাম্পটা হচ্ছে সেখানে। সেজন্যই বলিউড নগরির উপভোগ্য হয়ে উঠেছে তামিমদের জন্য। কত রকম খাবার যে তিনি খাচ্ছেন তার ইয়াত্তা নেই। বড় বড় রেস্তোরার চেয়ে ফুটপাথের খাবারই বেশি আকৃষ্ট করছে তাকে। এককথায় স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে গেছেন। গোলা আইসক্রিম তার খুবই পছন্দ। কম করে হলেও দিনে পাঁচ ছয়টি খেয়ে ফেলেন। খাট্টা দিয়ে ফুসকা খেতেও ভালোবাসেন।
এসব শুনে বুঝে মনে হচ্ছে আইপিএল অভিযানে তামিম ইকবালের পরিচয় পর্বটা ভালো হয়েছে। একটা পরিবারের মতো মিলে মিশে আছেন। এসএমএসে আর কতটাই আলাপ করা যায়। তাও উত্তর লিখেছেন, ‘খুব ভালো লাগছে। দলের সবাই খুবই আন্তরিক। এখানে তো অনেক দেশের খেলোয়াড় আছে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের সঙ্গে মিশে।’
পুনে অভিযান আরও সুখের হবে তামিমের খেলার সুযোগ পেলে। যদিও তার মনে হচ্ছে খেলার সুযোগ পাবেন। নিজেদের মধ্যে বুধবার রাতে যে প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে সেখানে দারুণ ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার। ৩৭ বলে ৫৭ রান নিয়ে অপরাজিত। ইনিংসের শেষপর্যন্ত থাকলে হয়তো স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো। পরীক্ষায় পাশ নম্বর পাওয়ার পর তাকে মাঠ থেকে তুলে নিয়েছেন কোচ জিওফ মার্শ।
তামিম ইকবাল মারকাটারি ব্যাটসম্যান হিসেবেই পরিচিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ ব্যাটসম্যান। তামিমকে প্রমাণের সুযোগ দিলে আখেরে পুনের লাভ হতে পারে। গ্রায়েম স্মিথ চোটে পড়ায় তার খেলার সুযোগ কিঞ্চিত তৈরি হয়েছে। জেসি রাইডার, মার্লন স্যামুয়েলস এবং তামিমের মধ্যে যে কোন দু’জন খেলবেন। এশিয়া কাপের ফর্ম বিবেচনায় নিলে তামিম এগিয়ে থাকবেন তাদের মধ্যে।
শচীন টেন্ডুলকারের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে পুনে ওয়ারিয়র্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ময়দানী লড়াই। একদাশ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের অপেক্ষা করতে হবে তামিমের খেলা না খেলার বিষয়ে জানার জন্য।