গুলশানের ডিএনসিসি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সব মার্কেটে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ বিষয়ে নগরভবন থেকেও একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মুক্তাঙ্গণ পার্কে আধুনিক পাবলিক টয়লেট উদ্বোধনকালে সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১০০টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের জন্য আমাদের প্রকল্প রয়েছে। নিজস্ব প্রকল্প ও বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় এ টয়লেটগুলো নির্মাণ করা হবে।
সাঈদ খোকন বলেন, আপনার জানেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই ঘটনা মাথায় রেখেই আমাদের দক্ষিণ সিটির সব মার্কেটে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি বলেন, যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সতর্কতার জন্য অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করা হবে। অগ্নি নির্বাপকের যে যন্ত্র রয়েছে আমরা সেগুলো স্থাপন বাধ্যতামূলক করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি।
গুলিস্তানের ফুটপাত বেদখল বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একটি সভা করেছি। আগামী ১১ জানুয়ারী গুলিস্তান এলাকার যারা হকার রয়েছেন তাদের সঙ্গে আলাপ করবো কিভাবে ফুটপাত দখলমুক্ত করা যায়। আপনারা দেখেছেন ইতোমধ্যে আমরা ৫টি এলাকায় হলিডে (ছুটির দিন) মার্কেট ঘোষণা করেছি। সেই মার্কেটগুলোয় সাপ্তাহিক ছুটির দিন হকাররা ব্যবসা করতে পারবেন। ওই স্থানগুলোকে ব্যবসা উপযোগী করার জন্য যা যা প্রয়োজন তাইই করবো।
দক্ষিণের মেয়র আরো বলেন, কিভাবে পুনর্বাসনের মাধ্যমে গুলিস্তান এলাকা হকারমুক্ত করা যায় আমরা সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করবো। তাদের কোনো দাবি থাকলে আলোচনায় আসতে পারে। এর মাধ্যমেই আমরা সমস্যার সমাধান করে গুলিস্তান এলাকাকে পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেব।
গুলিস্তান পার্ক সম্পর্কে মেয়র বলেন, এখানে কার পার্কিং রয়েছে। একটি মসজিদও বানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে। আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাই। সব সময় আলোচনার বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বলপ্রয়োগ করা যায়, আমরা যে কোনো সময় করতেও পারি। তবে, যদি আলোচনার মধ্যেই সমাধান করা যায়, সেটাই হবে উত্তম পন্থা।