সরকারি তহবিল থেকে শতভাগ বেতন-ভাতা ও চাকরি জাতীয়করণ চান বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা। একই সঙ্গে ইউপি সচিবরা বেতন চতুর্দশ গ্রেড থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতির ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও দাবি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. এমদাদ হোসেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে সচিবরা ৭৫ ভাগ বেতন সরকারি তহবিল থেকে বেতন পায় আর বাকি ২৫ ভাগ বেতন ইউপির নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হয়। অনেক ইউপিতে নিজস্ব তহবিলে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা না থাকায় ২৫ ভাগ বেতন নিতে পারেন না সচিবরা। ফলে সরকারি চাকরি করা সত্ত্বেও বেতন থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে আমাদের।
তাদের দাবি, ইউপি থেকে আদায় করা সব রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হোক এবং সরকারি তহবিল থেকে তাদের বেতন হোক।
এমদাদ হোসেন বলেন, ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে সচিবদের শতভাগ বেতন সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হবে। কিন্তু আজও তা দেয়া হচ্ছে না।
ইউপি সচিবের এই চাকরি তৃতীয় শ্রেণির পদপর্যাদার এবং বেতন স্কেল ছিল ৫ হাজার ২০০ টাকা। নতুন বেতন কাঠামোতে বেতন স্কেল ১০ হাজর ৫শ টাকা হয়েছে।
সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ৪ হাজার ৫৭৩ জন সচিব রয়েছে। তাদের বেতন চতুর্দশ গ্রেডে। দশম গ্রেড দিতেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।