ময়মনসিংহ: ছাত্রদলের পোস্টারে শোভা পাচ্ছে ছাত্রলীগের মূলনী-তি ‘শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি’।
অবিশ্বাস্য এ কাণ্ডটি ঘটেছে সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদল নেতা কাজী নুরুল হুদা পলাশের মুক্তির দাবি সম্বলিত পোস্টারে।
শহরজুড়ে সাঁটানো এ পোস্টারে এমন ভুলের কারণে খোদ জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা পড়েছেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। আর এ অবাক কাণ্ড দেখে মুখ টিপে হাসছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ শহরের নতুন বাজার মোড় এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে (ডিবি) গ্রেপ্তার হন ‘পদহীন’ জেলা ছাত্রদল নেতা কাজী নুরুল হুদা পলাশ। তার মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের ব্যানারে একটি পোস্টার ছাপা হয়।
নুরুল হুদা পলাশের ছবি সম্বলিত সেই পোস্টারের উপরে লেখা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মূল নীতি ‘শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি’। অথচ ছাত্রদলের মূলনীতি হলো- ‘শিক্ষা, ঐক্য, প্রগতি’।
জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের অগোচরে কীভাবে ছাত্রদলের পোস্টারে ছাত্রলীগের মূলনীতি লেখা হলো- এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি তানভীরুল ইসলাম টুটুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ধরণের পোস্টার ছাপানোর ব্যাপারে আমি অবগত নই।’
জেলা ছাত্রদলের এক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, জেলা ছাত্রদলের ব্যানারে পোস্টার করতে হলে অবশ্যই জেলা ছাত্রদলের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এ পোস্টারের বেলায় সেটি করা হয়নি। তবে এ পোস্টার ছাপা প্রক্রিয়ায় দলের এক শীর্ষ নেতা জড়িত রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত পলাশ ওই নেতার অনুসারী।
তবে আলোচিত এ পোস্টারের অনাকাঙ্খিত ভুলের বিষয়ে ২/১ দিনের মধ্যেই সিনিয়র নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে ছাত্রদলের ওই সূত্র।
এদিকে, এ পোস্টারকে ঘিরে ব্যঙ্গ-রসাত্মক আলোচনা চলছে ছাত্রলীগে। ‘অ্যানালগ ছাত্রদল’ নেতারা নিজেদের মূলনীতিই ভুলতে বসেছেন বলেও ঠাট্টা-মস্করা করছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তাজ উদ্দিন আহম্মেদ রানা’র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের আদর্শের প্রতি তিনি (পলাশ) হয়তো অনুগত। এ পোস্টার সেই স্বাক্ষরই বহন করছে। হয়তো এক সময় তিনি ছাত্রলীগ করতেন।’