আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেধা, যোগ্যতা আর আচরণের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে আকর্ষণীয় করতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় এ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আব্দুস সোবহান গোলাপ, এনামুল হক শামীম, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে হবে। বিতর্কিতদের কমিটিতে স্থান দেয়া যাবে না। নিয়মিত শিক্ষার্থীর দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আনতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীকে বলবো ডাকসুসহ ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিন।
এসময় মন্ত্রী সামান্য কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ করা সমাধান নয় উল্লেখ করে বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ নয়, অপরাধীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তোমাদের কোয়ান্টিটি দেখে আমি ভয় পাই। কোয়ান্টিটির সঙ্গে কোয়ালিটির সংযোগ করতে হবে। টেডিশনের সঙ্গে টেকনোলজির যোগ করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে আজ প্রধান বাধা উগ্র সাম্প্রদায়িকতা। এখান থেকে আজ ছাত্রলীগকে এটার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে পরাজিত করার।
উদ্বোধন শেষে র্যা লিটি শাহবাগ, মৎস ভবন, প্রেসক্লাব হয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। র্যা লিতে ছাত্রলীগের ঢাবি, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজ, হোম ইকোনমিক্স, বদরুন্নেসা, ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি ছাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দেলনে অগ্রভাবে থেকে নেতৃত্ব দেন।