রাজধানীর মহাখালীর করাইল বস্তি উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণায় সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে বস্তিতে ফিরে গেছেন বস্তিবাসী।
ডিএমপির গুলশান ডিভিশনের এডিসি নিজামুল হক মোল্লা জানান, উচ্ছেদ অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ করার আশ্বাস দেওয়ায় তারা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহর করে নিয়েছেন। যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এখনো ঘটনাস্থলের আশেপাশে রয়েছে। সরকারিভাবে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকবে।
এদিকে এ আশ্বাস পেয়ে বস্তিবাসী কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বস্তিতে ফিরে গেছেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গুলশান লেকের দুই পাশে ২০ ফুট করে স্থান খালি করা হচ্ছে। বুধবার ওই উচ্ছেদ অভিযান চলে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবারও বস্তি উচ্ছেদে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। পরে বস্তিবাসীর বাধার মুখে তা বাতিল করা হয়।
এদিকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে বেলা এগারোটার দিকে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বস্তিবাসী। এতে গোটা মহাখালী এলাকায় যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। বেলা সোয়া ১২টায় তারা সড়ক অবরোধ তুলে নিলেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
বস্তিবাসীর বিক্ষোভে গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনারও সৃষ্টি হয়। অবরোধ প্রত্যাহারের পর মহাখালী থেকে আশেপাশের সকল সড়ক, ফ্লাইওভারের ওপর ও নিচে এবং এয়ারপোর্ট রোডে যানজট ধীরে ধীরে কমে আসছে।
অন্যদিকে বুধবারের অভিযানে বুলডোজারের নিচে চাপা পড়ে দুই শিশু মারা গেছে ও ৬ শিশু আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বস্তিবাসী।
বস্তিবাসী জহির, রাশেদসহ একাধিক ব্যক্তি এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, তাদের দুটি শিশু বুধবারের অভিযানের সময় বুলডোজারের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়। এ সময় আহত হয় আরও ৬ শিশু।
এ ব্যাপারে গুলশান জোনের এসি শাহনেওয়াজ খালেদ ঘটনাস্থল থেকে জানান, এটি সম্পূর্ণ গুজব। বুধবারের অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এসি শাহনেওয়াজ আরও জানান, ডিসিসি নির্বাচন সামনে রেখে একটি পক্ষ পুরো করাইল বস্তি উচ্ছেদের গুজব ছড়িয়ে উস্কানি দিচ্ছে। সে কারণেই বস্তিবাসী রাস্তা অবরোধ করেছে।
তিনি জানান, স্থানীয় এমপি ও পুলিশের উর্ধ্বতনদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে আসছেন। তারা এলেই পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও জানান এসি শাহনেওয়াজ।