বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদের দক্ষতা ও উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করলেন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ক্যাপ্টেন রন এবেল।
গত ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি ১২২ ফ্লাইটকে বুদ্ধিমত্তার সাথে যথার্থ সিদ্ধান্ত নিতে পারায় ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। ক্যাপ্টেন নওশাদের অসামান্য পেশাগত দক্ষতা ও নৈপূণ্যের প্রশংসা করে ক্যাপ্টেন রন এবেল একটি প্রসংশা পত্র পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই দক্ষ পাইলট বোয়িং ৭৩৭-৮০০ নিয়ে মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে ২২ ডিসেম্বর তারিখ ভোর রাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে। ফ্লাইটটি টেক-অফ করার পর মাস্কাট বিমানবন্দর কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেনকে জানানো হয় যে, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে তা সম্ভবত বিমান এয়ারক্রাফটের হতে পারে।
এমতাবস্থায় ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নওশাদ অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের পরিবর্তে ঢাকায় হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এসময় তার অনুরোধে ঢাকায় জরুরি অবতরণের জন্য সব ধরনের সতর্কতা ব্যবস্থা নেয়া হয়। ল্যান্ডিং এর পূর্বে ক্যাপ্টেন ফ্লাইটটি নিয়ে রানওয়ের উপর দু`বার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন। তখন দেখা যায় উড়োজাহাজের পিছনের ২নং টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্যাপ্টেন নওশাদ তার অসাধারণ দক্ষতা ও অসামান্য ফ্লাইট নৈপূণ্যের সাক্ষর রেখে জরুরি অবস্থায় শান্ত ও ধীর-স্থীরভাবে সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহ নিরাপদে ফ্লাইটটি অবতরণ করান। উক্ত ফ্লাইটে ১৪৯ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু ছিলেন তারা সবাই সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বের হয়ে আসেন।
উক্ত ফ্লাইটটি পরিচালনায় ক্যাপ্টেন নওশাদ যে উঁচুমানের পেশাদারিত্ব ও নিরাপত্তা মান বজায় রেখেছেন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তার চিঠিতে এর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সকল এয়ারলাইন্সের মধ্যে একমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সই এভিয়েশন সেফটি বিষয়ে (IATA Operational Safety Audit) সনদপ্রাপ্ত এয়ারলাইন্স।
ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৭ অক্টোবর ১৯৭৭ সনে ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন এবং এ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৭শ ঘণ্টা উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছেন।