ঘরের মাঠে ৭টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে যার ৬টিতেই জয়ী লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারলেও (২-১) হোয়াইটওয়াশ চোখ রাঙ্গাতে পারেনি। এবার সুযোগ ছিল দেশের বাইরে নিজেদের প্রমাণের। শুরুতেই নিউজিল্যান্ড সফরে এসে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারেনি মাশরাফি নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে সিরিজে খারাপ করলেও টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া টাইগাররা। আজ নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় শুরু হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি।
এদিকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াটওয়াশ হলেও মানসিক ভাবে চাঙ্গাই আছে মাশরাফি-সাকিবরা। সিটি সেন্টারে দুপুরের খাবার খেতে দেখা মিললো বেশ ক`জন ক্রিকেটারের। সাকিব শিশিরকে নিয়ে লাঞ্চে খেলেন মাছ আর চিপস। এছাড়া মাশরাফি ও তামিমকেও লাঞ্চে দেখা গেলো মাছ আর চিপস খেতে। তাসকিন-ইমরুল-সাব্বিররা দুপুরের খাবার খেলেন এক ভারতীয় রেস্তোরাঁয়। চোখে দেখা এসব দৃশ্যই বলে দেয় মাশরাফি বাহিনী অন্তত মনের দিক থেকে ঠিক আছে। তাদের ‘মনের বাঘ খেতে পারেনি।’
মঙ্গলবার থেকে নেপিয়ারের ম্যাকলেন পার্কে যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে তার আগে সোমবার ছিল নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার শেষ দিন। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় তাও হলো না। অন্য সময় হলে হয়তো মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহরা খানিক অনুযোগের সুরে বলতো ইস শেষ প্রস্তুতিটাও ভালো মতো নেয়া হলো না। কিন্তু আজ বৃষ্টিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটা চরমভাবে বিঘ্নিত হলেও টাইগাররা স্বাভাবিক। কথাবার্তা হাবভাব ও শরীরী অভিব্যক্তি এমনকি আর করা? বৃষ্টির ওপরতো আর কারো হাত নেই। সবার মনোভাব এমন, আসলে আমরাতো প্র্যাকটিস আর খেলার ভিতরেই আছি। তাই এক-দুদিন অনুশীলন না হলেও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
ওয়ানডে সিরিজে তুলোধুনো হওয়ার পরও দলের এমন ইতিবাচক মানসিকতার কারণ কি? সাকিব তাও জানিয়ে দিলেন। তার মুখে আশাবাদী সংলাপ, আমরা জানি ও বিশ্বাস করি আমাদের জেতার সামর্থ্য আছে। কাজেই ওয়ানডে সিরিজে খারাপ করায় হতোদ্যম হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাই না। আর আমার বিশ্বাস, ওই না পারাকে আমরা পারার অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারি।’