কার্গো পরিবহন খাতে বিমানের আয় কমেছে ২০ শতাংশ

কার্গো পরিবহন খাতে বিমানের আয় কমেছে ২০ শতাংশ

বিদেশি নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে গত এক বছরে কার্গো পরিবহন খাতে বিমানের আয় কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত বছর ৮ মার্চ ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো পরিবহন নিষিদ্ধ করে যুক্তরাজ্য। পরবর্তীতে জুনে বন্ধ হয়ে যায় জার্মানিতে কার্গো পরিবহন।

এর আগে, ২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর অষ্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে। যার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পরে রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনস সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্গো পণ্য পরিবহন খাতের আয়ের উপর। গত অর্থবছরে এ খাত থেকে এয়ারলাইন্সটির আয় কমেছে ১৯.৬ শতাংশ।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বার্ষিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এয়ারলাইন্সটি উড়োজাহাজের কার্গো হোল্ডের মাধ্যমে ৪০ হাজার ৯১১ টন মাললামাল পরিবহন করে। যার মাধ্যমে বিমানের আয় হয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। যা ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ছিল ৩৯২ কোটি টাকা। সে হিসেবে কার্গো পণ্য পরিবহণে এয়ারলাইন্সটির আয় কমেছে ১৯.৬ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জাগো নিউজকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে বিমানের কার্গো সার্ভিসের মাধ্যমে আয় কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে বিমান মুনাফা করেছে।  কার্গোতে নিষেধাজ্ঞা না থাকলে মুনাফার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে।  সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে চেষ্টা করছে, আশা করছি সেটি প্রত্যাহার হলে বিমানের আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্য উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে যায়। এছাড়া ওষুধ, সবজি, শুকনো খাবার, ফলমূল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যায়। আমদানির ক্ষেত্রে বিমানের কার্গো সেবার মাধ্যমে চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান থেকে দেশে আসে মোবাইল ফোন, গার্মেন্টস পণ্য, কাপড়, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ। এছাড়া টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশ আসে ইউরোপ থেকে। ওষুধ উৎপাদনের কাচামাল আসে ভারত ও চীন থেকে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসে ব্যক্তিগতভাবে আমদানীকৃত বিভিন্ন পণ্য।

অর্থ বাণিজ্য