বিকেল সাড়ে ৩টা। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনের ভেতর থেকে মাইকে মিনিটে মিনিটে ভেসে আসছে ভোটারের হিসাব। কত নম্বর ভোটার যাচ্ছেন তা সব প্রার্থী তো বটেই বুথের ভেতর প্রার্থীর এজেন্ট ও বাইরে অপেক্ষমাণ ভোটাররাও জানতে পারছেন।
মাইকে সোয়া ৩টায় জানানো হয়, তখন পর্যন্ত ৯০৭ ভোট পড়েছে। দুপুরের আগে মাত্র ৩শ ভোট পড়ে। নজীরবিহীন স্বচ্ছতায় নবীন ও প্রবীণ ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ২০১৭ ভোটগ্রহণ চলছে।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা জব্বার মাইকে ঘোষণা দেন- সর্বশেষ ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ১০২৩ ভোট। স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ সবদলের নেতাকর্মীরা খুবই খুশি।
বিএনপিপন্থী জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ অাবদাল আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণে আমি খুশি।
সিনিয়র সাংবাদিক স্বপন দাশ গুপ্ত বলেন, ফলাফল যাই হোক না কেন, ভোটগ্রহণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হওয়ায় বিতর্কের সুযোগ থাকবে না।
সময় যত গড়াচ্ছে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে কে বা কারা নির্বাচিত হবেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। সবার এক কথা নতুন ৬ শতাধিক ভোটারের ভোট যেদিকে পড়বে সেদিকে জয়ের পাল্লা ভারি হবে।