প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার বিমানের সাত কর্মকর্তাকে ফের ৮ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ফের দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজমের পরিদর্শক মাহবুব আলম।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ওয়ায়েজকুরুনী খান চৌধুরী প্রত্যেককে ৮ দিন করে রিমান্ড প্রদান করেন। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর তাদের প্রত্যেককে সাতদিন করে রিমান্ড প্রদান করেছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী ।
রিমান্ডকৃতরা হলেন- প্রকৌশলী কর্মকর্তা সামিউল হক, মো. লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, মো, জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশল কর্মকর্তা পরিদর্শন ও মান নিশ্চিতরণ (ভারপ্রাপ্ত) এস এ সিদ্দিক ও মুখ্য প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন।
২১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। ত্রুটি মেরামত করে সেখানে চারঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতির পর ওই উড়োজাহাজেই প্রধানমন্ত্রী বুদাপেস্টে পৌঁছান।
ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। এই ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ বিমানের ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর বরখাস্ত হন বিমানের তিন প্রকৌশলীও।
এরপর ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাটেরিয়েল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএ সিদ্দিক ও প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুত্ফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান। এজাহারভুক্ত আসামি সবাইকেই ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।