প্রথম উইকেট হারানো ধাক্কা সামলে উইলিয়ামসন-ব্রুমের শতরানের জুটির উপর ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কিউইদের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান। উইলিয়ামসন ৫৭ আর ব্রুম ৪৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৩৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। শতভাগ ফিট না থাকায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলতে না পারা মোস্তাফিজ সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেই নিজের ঝলক দেখান। নিজের প্রথম ওভারেই ল্যাথামকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান এই বিস্ময় বালক। এরপর দলীয় ১৬ রানে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন গাপটিল।
এর আগে শনিবার নেলসনের সেক্সটন ওভাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় টাইগাররা। ১০২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে আউট হন ইমরুল। মূলত নেইল ব্রুমের অতিমানবীয় ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন এ ওপেনার। শর্ট থার্ডম্যানে প্রায় ১০ গজ পিছনের দিকে দৌড়ে ঝাপিয়ে পড়ে এক হাতে ক্যাচ লুফে নেন ব্রুম।
ইমরুলের বিদায়ের পরই শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল। এক একে ফিরে যান সাব্বির, মাহমুদউল্লাহ, তামিম, সাকিব, মোসাদ্দেক ও তানবীর। মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিনা উইকেটে ১০২ রানে থাকা বাংলাদেশের রান হয় ৭ উইকেটে ১৭৯ রান।
তবে অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দলের রান দুইশত পার করেন নুরুল হাসান সোহান। শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করে ৩৯ বলে ৪৪ রানের দারুণ কার্যকরী এক ইনিংস খেললে ২৩৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
তবে ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফসেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তামিম। ৮৮ বল মোকাবেলা করে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৬২ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ রান করেন ইমরুল। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩৮ রানে ২টি উইকেট নেন সান্টনার। এছাড়া সাউদি, প্যাটেল, হেনরি, নিশাম ও উইলিয়ামসন ১টি করে উইকেট নেন।