দীর্ঘ ৩২ বছর পর সিলেটে তাবলীগ জামাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন জেলা ইজতেমা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা শুরু হয়। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ ইজতেমা।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়কের পাশে লতিপুর-খিদিরপুর এলাকায় আয়োজিত ইজতেমা মাঠে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে গত বুধবার দুপুর থেকে ইজতেমায় আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। ইতিমধ্যে প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লিদের সমাগম ঘটেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের আগমনও বাড়বে। তবে বিদেশি মুসল্লিরা দুদিন আগেই ইজতেমাস্থলে এসে অবস্থান নিয়েছেন।
ইজতেমার ময়দানে নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। র্যা ব এবং পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে একটি ক্যাম্প, কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
সিলেটে জেলা ইজতেমা উপলক্ষে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাড়ে ১৫ লাখ বর্গ ফুট আয়তনের বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণসহ মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্তে ১১টি খিত্তা ভিত্তিক এলাকায় ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিদেশি অতিথিদের জন্য তিনটি আলাদা পাকা শেড নির্মাণ করা হয়েছে।
মুসল্লিদের ওজু-গোসলের জন্য ১১ টি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পিডিবির পক্ষ থেকে ২টি নতুন ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে। তাছাড়া সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার পক্ষ থেকে মেডিকেল ক্যাম্প খোলা হয়েছে ইজতেমা ময়দানে।
অসুস্থদের জরুরিভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হিসেবে আল মারকাজুল খায়েরি আল ইসলামীর অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক ইজতেমা মাঠে থাকবে। রেডক্রিসেন্টের পক্ষ থেকেও একটি হেলথ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। প্রসাব-পায়খানার জন্য তৈরি করা হয়েছে দুই হাজার টয়লেট।