সঠিক মাপে রান্না করা কিংবা যেকোনো কিছু তৈরি করা সবসময় সম্ভব হয় না। কোনো কোনো সময় ব্যবহার জানা না থাকার কারণে অনেক জিনিস ফেলে দিতে হয়। তবে বাড়তি জিনিসের সঠিক ব্যবহার করে তৈরি করা যায় নতুন কোনো পদ। চলুন জেনে নিই-
কমলা লেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে চা পাতা ফোটানোর সময় অল্প কয়েকটা কমলা লেবুর খোসা দিয়ে দিন। এতে চায়ে সুন্দর ফ্লেভার হবে।
আদা-রসুন বাটা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে গেলে লবণ ও তেল মিশিয়ে স্টোর করে রাখুন। এ ছাড়া এয়ার টাইট কন্টেনারে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন। অনেক দিন ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।
অনেক সময় ক্ষীর রান্না করার সময় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে যায়। তখন ক্ষীর ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করুন। এরপর কুলফি বা আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে রাখুন। জমে গেলে আইসক্রিম বা কুলফির মতো হয়ে যাবে। খেতেও ভালো লাগবে।
অনেক সময় দেখা যায় বিস্কুট ভেঙে গুঁড়া হয়ে যায়। তাই ফেলে না দিয়ে পরোটা, রুটি বা লুচি তৈরির করার সময় ময়দার সঙ্গে বিস্কুটের গুঁড়া মিশিয়ে ময়ান করে বানাতে পারেন।
টমেটো অনেক সময় বেশি থাকলে নরম হয়ে যায়। তাই ঠাণ্ডা পানিতে অল্প লবণ দিয়ে টমেটোগুলো সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন টমেটোগুলো ফ্রেশ এবং শক্ত হয়ে যাবে।
নিমকি তৈরির জন্যও বিস্কুটের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া ফিশফ্রাই, কাটলেট, নাগেটস বানানোর সময় ব্রেড ক্রামের বদলে বিস্কুটের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।
অনেক সময় নারকেলের মালা একসঙ্গে পুরোটা লাগে না। তাই অর্ধেক নারকেলের মালা ফ্রিজে রাখার সময় লবণ মাখিয়ে রাখুন। ফ্রেশ তো থাকবেই আর নারকেল শক্ত হয়ে যাবে না।
দইয়ের পানি ময়দা বা আটা মাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। রুটি, পরোটা যাই তৈরি করুন না কেন নরম হবে।
টমেটো পিউরি বেশি হলে প্লাস্টিকের কৌটায় ভরে ফ্রিজে রাখুন। তাড়াতাড়ির সময় টমেটোর গ্রেভি করতে হলে উপকারে লাগবে।