বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের সাফল্য এখন বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। আমাদের ক্রিকেট এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আলোচিত। সাকিব-তামিম-মোস্তাফিজরা নিজেদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তেমনি গলফে সকলের কাছে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করে দিয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান। তার হাত ধরেই দেশের গলফ পাচ্ছে নতুন জনপ্রিয়তা।
দেশ সেরা এই গলফারের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলো সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে। আলাপকালে জানা গেলো, আগামী ১৯ জানুয়ারী থেকে সিঙ্গাপুরে শুরু হচ্ছে গলফ টুর্নামেন্ট। আর এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতেই এখানে আশা। তবে এর আগে প্রশিক্ষণের জন্য ফিলিপাইন যাবেন তিনি। সেখান থেকে ১৫ জানুয়ারী আবার সিঙ্গাপুর ফিরবেন।
শেষ কয়েকটি টুর্নামেন্টে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সিদ্দিকুর। তাই এ টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দেশ সেরা এই গলফার। আর এ জন্যই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রশিক্ষণের জন্য ফিলিপাইন যাচ্ছেন তিনি।
২০০০ সালের দিকে বাংলাদেশের গলফ ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের উদ্যোগে দেশে প্রতিযোগিতামূলক গলফে বলবয়-ক্যাডি হয়ে আসা সুবিধাবঞ্চিত গলফারদের সুযোগ হয়। আর সেই সুযোগে কোচের অধীনে শুরু হয় সিদ্দিকুর রহমানের অনুশীলনও। তখন তার আগ্রহ এবং ধৈর্য্য ছিল অন্য সবার থেকে বেশি। এক সময় এই আগ্রহ আর ধৈর্য্যের ফলও পেতে শুরু করলেন। সবাইকে আশ্চর্য করে দিয়ে তিনি জিততে শুরু করলেন একে একে ১২টি অপেশাদার গলফ টুর্নামেন্টের শিরোপা।
আর অপেশাদার গলফে তার সাফল্য তাকে টেনে নিলো পেশাদার গলফের দিকে এবং ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে শুরু হলো তার পেশাদার গলফের জগত। যথারীতি সেখানেও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখলেন সিদ্দিক। ২০০৮ ও ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত ও বাংলাদেশ সার্কিটের ৪টি পোশাদার শিরোপা জিতলেন সিদ্দিকুর।
২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশি গলফার হিসেবে সুযোগ পান এশিয়ান ট্যুর এ অংশ নেয়ার। ২০১০ সালে বাংলাদেশি হিসেবে তিনি জয় করেছেন এশিয়ান ট্যুর এর শিরোপা। ২০১৩ সালের নভেম্বরে হিরো ইন্ডিয়া ওপেন গলফ টুর্নামেন্টে তিনি চ্যাম্পিয়ন হন। আর ২০১৬ সালে রিও গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন তিনি।