লিবিয়ায় পরস্পর বিরোধী দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে ১৪ ব্যক্তি নিহত এবং বহুসংখ্যক আহত হয়েছেন।
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় বারবার উপজাতি অধ্যূষিত এলাকায় অবস্থিত জুয়ারা শহরে স্থানীয় বারবার উপজাতি ও তাদের প্রতিপক্ষ আরব বংশোদ্ভূত গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। গত তিন দিন ধরে ওই এলাকায় এই সংঘাত চলছে।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লিবিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন অন্তবর্তীকালীন ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল(এনটিসি) উপদ্রুত এলাকায় সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে এনটিসি জানায় বিবদমান পক্ষগুলোকে লড়াই বন্ধে বাধ্য করতে তারা ওই এলাকায় সেনা পাঠাবে।
জুয়ারা শহরে অবস্থান নেওয়া বারবার এবং প্রতিবেশী আল জুমায়েল ও রেগলাদিনে অবস্থান নেওয়া আরব মিলিশিয়াদের মধ্যে মর্টার এবং ভারী অস্ত্রের গোলা বিনিময় হচ্ছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাওজি আবদেল আল সংবাদমাধ্যমকে জানান এনটিসি দু’পক্ষকেই লড়াই থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে , কারণ এই লড়াইয়ে কেউ জিতবে না।
জুয়ারা শহরের সাম্প্রতিক এই সংঘাতের আগে গত সপ্তাহেও লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সাবাহতে সংঘটিত উপজাতীয় সংঘাতে ১৫০ জন নিহত হয়েছিলেন।
গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়ার সরকার বর্তমানে কর্তৃত্বহীনতায় ভুগছে এবং দেশের ওপর তাদের প্রকৃতপক্ষে কার্যকর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এমনকি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত করতে কার্যকর কোন সেনাবাহিনীও নেই তাদের হাতে।
লিবিয়ার বেশিরভাগ অংশের আইন-শৃংখলা এখন নিয়ন্ত্রণ করছে ভারি অস্ত্র সজ্জিত বিভিন্ন সশস্ত্র মিলিশিয়া গ্রুপ ও আঞ্চলিক উপজাতীয় গোত্র।