২০১৫ সালে বিশ্বে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ তার আগের বছরের চেয়ে কমেছে। ২০১৪ সালে বিশ্বে ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রি হলেও গত বছর এ পরিমাণ কমে ৮০ বিলিয়নে নেমেছে। মার্কিন কংগ্রেসের এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বে অস্ত্রে বিক্রির পরিমাণ কমলেও অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ৪০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বক্রি করেছে। এর পরে স্থানে রয়েছে ফ্রান্স; দেশটি ২০১৫ সালে ১৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। উভয় দেশের অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৪ বিলিয়ন ও ৯ বিলিয়ন ডলার।
তবে রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ কমেছে। ২০১৪ সালে ১১.২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করলেও গত বছর ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে রাশিয়া। একই সময়ে চীন ৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে; যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত মার্কিন কংগ্রেসের ওই গবেষণা প্রতিবেদন গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে। গত মাসে অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণকারী মার্কিন সংস্থা ডিফিন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন অ্যাজেন্সি (ডিএসসিএ) ২০১৬ সালে ৩৩.৬ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। ডিএসসিএ এ সময় কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনের কাছে ৭ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান বিক্রির কথা জানালেও অস্ত্রের পরিমাণ জানায়নি।
২০১৫ সালে ‘উন্নয়নশীল দেশে প্রচলিত অস্ত্র স্থানান্তর’ শীর্ষক ওই মার্কিন গবেষণা প্রতিবেদেন বলছে, উন্নয়নমীল দেশগুলোই সর্ববৃহৎ অস্ত্র ক্রয়কারী। ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে কাতার; দেশটি ১৭ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয় চুক্তি সাক্ষর করেছিল। এরপরেই ১২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি করেছে মিসর। সৌদি আরব অস্ত্র ক্রয়ে ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অস্ত্র ক্রয়ের শীর্ষ দেশের তালিকায় রয়েছে।