সিনেমায় এমনটা হরদমই দেখা যায়। প্রেমের টানে বিয়ের আসর ছেড়ে নায়িকা পালিয়ে যান। কিন্তু বাস্তবেও এমনটা হয়। তাও আবার চিত্রনায়িকা ববিতার জীবনে! বিয়ের দুইযুগ পর এসে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানালেন, ‘আমার বাবা মৃত্যুশয্যায় ছিলেন। ওই সময় বাবা বললেন, মা আমি মৃত্যুর আগে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে তো বলো আর না হলে আমরা সবাই দেখি। তো সুচন্দা আপা, আমার দুলাভাইসহ সবাই খোঁজ করে অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের সাথে বিয়ে ঠিক করে।’
সঙ্গে যোগ করলেন, ‘সকালবেলায় বরপক্ষ আসবে দশটা-এগারটার দিকে। তো আমি কী করলাম, পেছনের দরজা দিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির। রাজ্জাক ভাই বললেন, ববিতা আজ তুই এখানে কেন? তো আমি লক্ষ্মী ভাবীকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বললাম, ভাবী আমার দ্বারা হবে না। আমার ভয় লাগছে। আমি পারব না। তারপর রাজ্জাক ভাই ও ভাবী আমাকে বুঝিয়েসুজিয়ে বলল- প্রথমে একটু ভয়টয় লাগবেই, পরে ঠিক হয়ে যাবে। পরে বলল, এই লক্ষ্মী তুমি নিজে ববিতাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে এসো। তারপর ভাবী আমাকে নিয়ে এলেন।’
উল্লেখ্য, আশির দশকের শুরুতে ববিতা চট্টগ্রামের সন্তান চলচ্চিত্র পরিচালক ইফতেখারুল আলমকে বিয়ে করেন। তবে তাদের এ সংসার বেশিদিন টিকে নি। তাদের সন্তান অনিক। বর্তমানে অনিক কানাডায় থাকছেন। ববিতাও বছরের বেশিরভাগ সময় অনিকের সাথে কানাডায় অবস্থান করেন।