এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের সংশোধনীতে মন্ত্রিসভার সায়

এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের সংশোধনীতে মন্ত্রিসভার সায়

30এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় জোটের (এপিটিএ) বাণিজ্য সম্প্রসারণে কয়েকটি সংশোধনী এনে ‘সেকেন্ড অ্যামেডমেন্ট অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট’-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ব্যাংককে একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়। ২০০৫ সালে এটি সংশোধিত হয়ে এপিটিএ হয়। ব্যাংকক এর সদস্য দেশ না হলেও এটি ব্যাংকক চুক্তি নামে পরিচিত। এর সদর দফতর ব্যাংকক। বাংলাদেশসহ মোট ৬টি দেশ এপিটিএ-এর অন্তর্ভুক্ত। দেশগুলো হলো- ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও লাওস। নতুন করে মঙ্গোলিয়ার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে আন্তবাণিজ্য বাড়ানো এবং উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে সেকেন্ড অ্যামেডমেন্ট অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

শফিউল আলম বলেন, এ চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ অংশ সাধারণ তালিকার সকল সদস্যকে ৫৫৮টি পণ্যে ১০ থেকে ৭০ এবং এলডিসির দেশগুলোকে ৬০২টি পণ্যে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা দেবে।

চীন অংশ সাধারণ তালিকার সকল সদস্যকে ২ হাজার ১৫১টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ এবং এলডিসির দেশগুলোকে ১৮৮ পণ্যে ৫ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা দেবে।

ভারত সাধারণ তালিকার সকল সদস্যকে ৩ হাজার ৩৩৪টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ এবং এলডিসির দেশগুলোকে ৪৭টি পণ্যে ১৪ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা দেবে।

দক্ষিণ কোরিয়া সাধারণ তালিকার সদস্য দেশগুলোকে ২ হাজার ৭৯৬টি পণ্যে ১০ থেকে ১০০ শতাংশ এবং এলডিসির দেশগুলোবে ৯৬১টি পণ্যে ২০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা দেবে।

শ্রীলঙ্কা সাধারণ তালিকার সদস্যদের ৫৮৫ পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ এবং এলডিসির দেশগুলোকে ২০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা দেবে। আর লাওস ৯৯৯ টি পণ্যে ২০ থেকে সাড়ে ৩৭ শতাংশ এবং মঙ্গোলিয়া ৩৩৩টি পণ্য ১০ থেকে ৩০ শতাংশ শুল্ক সুবিধা দেবে।

অর্থ বাণিজ্য